জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই বছর আগে এক নৈশ প্রহরীকে খুনের ঘটনায় নিহতের চাচাত ভাইয়ের ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
Published : 09 Jul 2019, 10:29 PM
মঙ্গলবার ভোরে কক্সবাজার সদর থেকে নকিবুল হক সৌরভকে (১৯) গ্রেপ্তার করে পিবিআই বলছে, নৈশপ্রহরী মোহাম্মদ আলমগীরকে খুনে তার আপন ভাইও জড়িত বলে এই তরুণ জানিয়েছে।
২০১৭ সালের ২ জুলাই রাত সোয়া ২টার দিকে কর্ণফুলী থানার চর পাথরঘাটা এলাকায় কর্মস্থল থেকে বাড়িতে ফেরার পথে খুন হন আলমগীর (৪৮)।
ওই ঘটনার প্রায় দুই বছর পর মঙ্গলবার এই মামলায় প্রথম সৌরভকে গ্রেপ্তার করল পিবিআই।
সৌরভ কর্ণফুলী থানার চরপাথরঘাটা এলাকার নজির মেম্বার বাড়ি মোহাম্মদ নুরুল আবছারের ছেলে। নুরুল আবছার ও নিহত আলমগীর চাচাত-জেঠাত ভাই এবং প্রতিবেশী।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এতদিন হত্যার কারণ ও এর সাথে জড়িতদের বিষয়ে তেমন কিছু জানা যায়নি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার সদরের বার্মিজ মার্কেট এলাকা থেকে সৌরভকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে ও হত্যা পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছে।”
পুলিশ কর্মকর্তা ফিরোজ বলেন, ওই রাতে নিজ বাড়ির কাছেই ভাই সেকান্দরের বাড়ির সামনে আলমগীরের উপর হামলা চালানো হয়েছিল।
সৌরভের দেওয়া তথ্যের বরাতে পিবিআইর এএসআই তারেক হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আলমগীরকে গাছের বাটাম দিয়ে মারধরের পর শ্বাসরোধে খুন করা হয়। এরপর হাত বেঁধে মরদেহ পার্শ্ববর্তী খালের পাড়ে ঝোঁপে নিয়ে ফেলে দেয়।
ওই মামলায় মঙ্গলবার চট্টগ্রামের বিচারিক হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সৌরভ।
পিবিআই কর্মকর্তা ফিরোজ বলেন, হত্যার কয়েকদিন আগে বৈঠকে বসে পরিকল্পনা হয়েছিল বলে সৌরভের দাবি।
“ওই বৈঠকে নিহতের আপন ভাই সেকান্দরও ছিলেন। হত্যার রাতে সৌরভের আরেক ভাই সজীব ফোনে নুরুল আবছার ও সেকান্দরকে জানিয়েছিল যে আলমগীর বাড়ি ফিরছে।”
এই হত্যাকাণ্ডে সৌরভ নিজে, তার তিন ভাই, তার বাবা নুরুল আবছার এবং নিহতের আপন ভাই সেকান্দর জড়িত বলে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন সৌরভ।
এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পিবিআইর অভিযান চলছে।
আলমগীর খুনের ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
পরে বাদিপক্ষের নারাজি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৮ অক্টোবর পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।