চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে চলতি বছর মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার গতবারের তুলনায় বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
Published : 06 May 2019, 01:25 PM
সোমবার সকালে ঢাকায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি কেন্দ্রীয়ভাবে ফলাফলের সারসংক্ষেপ প্রকাশের পর বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড ভবনে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফলাফল অনুসারে এবার এই বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ১১ শতাংশ; গতবার এই হার ছিল ৭৫ দশমিক ৫০ শতাংশ।
এবার ছাত্রদের পাসের হার ৭৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং ছাত্রী পাসের হার ৭৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
পাসে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক থেকে এগিয়ে মেয়েরা।
তিন হাজার ৭৪১ জন মেয়ে ও তিন হাজার ৬৫২ জন ছেলে- মোট সাত হাজার ৩৯৩ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। ২০১৮ সালে পেয়েছিল আট হাজার ৯৪ জন।
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৮০ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং মানবিক বিভাগে পাসের হার ৬৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। গত বছর ব্যবসায় শিক্ষায় ৭৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং মানবিকে পাসের হার ছিল ৬০ দশমিক ১৩ শতাংশ।
চট্টগ্রাম মহানগরীর বিদ্যালয়গুলোতে এবার পাসের হার গতবারের তুলনায় কিছুটা কমেছে। চলতি বছর মহানগরীর বিদ্যালয়গুলোতে পাসের হার ৮৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ; গত বছর ছিল ৮৫ দশমিক ২২ শতাংশ।
মহানগর বাদে চট্টগ্রাম জেলায় পাসের হার এবার ৭৮ দশমিক ৬০ শতাংশ।
কক্সবাজার জেলায় এবার পাসের হার ৭৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ। তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে রাঙামাটিতে এবার পাসের হার সর্বোচ্চ- ৬৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
এছাড়া খাগড়াছড়ি জেলায় পাসের হার ৬৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং বান্দরবান জেলায় ৬৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
সেরা দশ প্রতিষ্ঠান
টানা কয়েক বছর এএসসিতে ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শীর্ষে থাকলেও এবার শীর্ষে উঠেছে কলেজিয়েট স্কুল।
কলেজিয়েট স্কুল থেকে এবছর ৪৫৭ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৪৫৬ জন। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১১ জন।
সরকারি মুসলিম হাই স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩১২ জন। প্রতিষ্ঠানটির ৩৯২ জন পরীক্ষার সবাই পাস করেছে।
নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯৪ জন। এ স্কুল থেকে ৪৬১ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ৪৫৯ জন।
বাংলাদেশ মহিলা সমিতি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬৪ জন। এই স্কুল থেকে ৪৫৯ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ৪৬৫ জন।
নাসিরাবাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১৮ জন। এ স্কুল থেকে ৩৩৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩৩৫ জন।
বাংলাদেশ নৌ বাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবছর ৫১৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৫০৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮৭ জন।
চট্টগ্রাম ক্যন্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬৩ জন। এ স্কুল থেকে ২০৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে।
চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩০৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ২৯৫ জন। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪৬ জন।
কক্সবাজার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৫৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ২৪৬ জন। তাদের মধ্যে ১১২ জন পেয়েছে জিপিএ-৫।