রোববার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমান শুনানি শেষে ভারতীয় এই ছাত্রের রিমান্ডের আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী সাহাবুদ্দিন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত শুনানি শেষে দুই দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।”
এর আগেও তিনবার উইনসন সিংকে রিমান্ডে নিয়ে কোনো তথ্য আদায় করতে না পেরে গত ১৩ মার্চ চতুর্থ দফায় রিমান্ডে নেওয়ার এই আবেদন করে পিবিআই।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, খুনের কারণ জানতেই উইনসনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তারা।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউএসটিসির এমবিবিএস পড়ুয়া দুই ভারতীয় শিক্ষার্থী আতিফ শেখ ও উইলসন সিংকে গত বছরের ১৪ জুলাই গভীর রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
তারা নগরীর আকবর শাহ থানার আব্দুল হামিদ সড়কের ছয় তলা একটি ভবনের পঞ্চম তলায় থাকতেন।
এদের মধ্যে আতিফ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন, আর উইলসন ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে ঘটনার পর সহপাঠীর বরাত দিয়ে জানায় পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা রক্ত, কাপড় ও ছুরিসহ পাঁচটি আলমতের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকায় সিআইডি ল্যাবে পাঠিয়েছিল। সেখানে চারটি আলামতের ডিএনএ এক হলেও একটি ভিন্ন ডিএনএ পাওয়া যায়।
আলামতে পাওয়া ভিন্ন ডিএনএ পরীক্ষার জন্য কারাগারে আটক সন্দেহভাজন দুই স্বদেশী শিক্ষার্থী উইনসন সিং ও নিরাজগুরুর ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়।
ডিএনএ প্রতিবেদনে ভাঙ্গা ছুরির বাটে পাওয়া ডিএনএ’র সাথে উইনসন সিংয়ের ডিএনএ মিল পাওয়া যাওয়ার কথা জানায় পিবিআই।
খুনের ঘটনায় তিন দিন পর আতিফের বাবা আব্দুল খালেক বাদী হয়ে আকবর শাহ থানায় মামলা করেন। তাতে সুনির্দিষ্ট কাউকে আসামি না করলেও আটজনকে সন্দেহের তালিকায় রাখেন তিনি।