ভারতীয় ছাত্র খুন: ‘মদের পার্টিতে ছিলেন আরও ৫ শিক্ষার্থী’ 

চট্টগ্রামে এক ভারতীয় শিক্ষার্থী খুন হওয়ার আগে ওই বাসায় ‘মদের পার্টিতে’ আরও পাঁচ শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2017, 06:02 PM
Updated : 15 July 2017, 07:53 PM

শুক্রবার রাতে ‘পার্টিতে’ যোগ দেওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউএসটিসির ওই পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন ভারতীয় ও দুজন বাংলাদেশি বলে আকবর শাহ থানার ওসি মো. আলমগীর জানিয়েছেন।

এদের মধ্যে একজন নারী শিক্ষার্থী নিহত ভারতীয় ছাত্র মোহাম্মদ আতিফ শেখের (২৬) ‘গার্লফ্রেন্ড’ বলে জানান তিনি।

ওসি আলমগীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আব্দুল হামিদ সড়কের ছয়তলা ভবনের পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটের এক কক্ষে আতিফ ও আহত ভারতীয় ছাত্র উইলসন (২৬) থাকতেন। ওই ফ্ল্যাটেই পাশের কক্ষে স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন আরেক ভারতীয় ছাত্র নিরাজ গুরু। নিরাজের স্ত্রীও ভারতীয় এবং তারা সবাই একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এদের চারজনেরই বাড়ি ভারতের মণিপুরে।

“ওই বাসায় শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ‘পার্টি’ হত। শুক্রবার রাতেও সে রকম একটি পার্টি আয়োজন করা হয়। বাসার বাসিন্দাদের মধ্যে নিরাজের স্ত্রী পার্টিতে যোগ দেননি। বাইরে থেকে আসা পাঁচজন এবং নিরাজ, আতিফ ও উইলসন পার্টিতে অংশ নেন।

“এরা সবাই সহপাঠী। পার্টিতে অংশ নেওয়া সবাই মদ পান করেছিলেন। তাদের কয়েকজনকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদও করেছি।”

পার্টিতে আসা অন্য বন্ধুরা রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই বাসা থেকে চলে যায় বলে জানান আকবর শাহ থানার এসআই জসিমউদ্দিন।

এরপর ওই কক্ষ থেকে শব্দ পেয়ে সেখানে যান বলে জানিয়েছিলেন শুক্রবার মধ্যরাতে আতিফ ‍ও উইলসনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা নিরাজ।

তিনি পুলিশকে বলেছিলেন, ভিতর থেকে বন্ধ ওই কক্ষ বিকল্প চাবি দিয়ে খুলে ভেতরে ঢুকে উইলসনকে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং রক্তাক্ত আতিফকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেছিলেন।

দুজনকে হাসপাতালে আনার পর আতিফ আগেই মারা গেছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন।

অপরদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উইলসনের অবস্থা এখনও গুরুতর জানিয়ে ওসি আলমগীর বলছেন, এই শিক্ষার্থী সুস্থ হওয়ার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তারা। তার আগ পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া ‘সম্ভব নয়’।

তিনি বলেন, “আতিফের মা-বাবা ভারত থেকে আগামীকাল এসে পৌঁছাবেন বলে জানতে পেরেছি। আহত অন্য ছাত্র খুবই অসুস্থ হওয়ায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।”

ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার আতিফের মরদেহ ইউএসটিসির উপ-পরিচালকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ ঘটনায় শনিবার রাত ৯টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানান ওসি।