বিক্ষুব্ধ দিয়াজ অনুসারীদের ডেমু ট্রেনে ভাংচুর

ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর লাশ উদ্ধারের ঘটনার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী একটি ডেমু ট্রেন ভাংচুর করেছে তার সমর্থকরা।

সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফতেয়াবাদের কাছে ডেমু ট্রেনটি আটকানোর পর সেটি ভাংচুর করে দিয়াজের অনুসারী ছাত্রলীগের কর্মীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়গামী বেশ কয়েকটি শাটল ট্রেন চলাচল করেনি।

ষোলশহরের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকালে ডেমু ট্রেনটির সামনের অংশে ভাংচুর এবং চালককে টানাহ্যাঁচড়া করা হয়। পরে সেটি ফিরে আসলেও আর পরের বারে যায়নি।

তিনি বলেন, “সকালে ভাংচুরের পর বিকাল পর্যন্ত বেশ কয়েকটি শাটল চলেনি। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে একটি শাটল ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয় অভিমুখে ছেড়ে যায়।”

তবে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা ফতেয়াবাদের কাছে ট্রেনটি আটকে রেখেছিল জানিয়ে ভাংচুরের বিষয়টি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী।

প্রতিদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অভিমুখে সাত জোড়া শাটল ও এক জোড়া ডেমু ট্রেন চলাচল করে।

রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেইট এলাকার নিজ বাসা থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ- সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আগের কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন।

দিয়াজের মৃত্যুর পর তার সহপাঠী ও রাজনৈতিক সহকর্মীদের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করার মত ছেলে নন। কেউ তাকে শত্রুতার জেরে হত্যা করে সিলিংয়ের সাথে ঝুলিয়ে দিতে পারে।

রোববার গভীর রাতে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা বিলকিসের উপস্থিতিতে দিয়াজের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়।

সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আফছানা বিলকিস বলেন, লাশের গলায় দাগ ছাড়াও দুইহাতের কনুইয়ের আশে পাশে লালচে দাগ দেখা গেছে। এছাড়া বাম পায়ে সামান্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

আত্মহত্যা না অন্য কিছু জানতে চাইলে তিনি বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে, প্রতিবেদনের পর বাকি সব জানা যাবে।

এদিকে সোমবার বিকালে দিয়াজ ইরফানের লাশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। বিকালে চবি কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।

জানাজায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

দিয়াজ ইরফান চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিন্যান্স বিষয়ে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে তিনি সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।