চট্টগ্রামে একটি অস্ত্র মামলায় ইসলামী ছাত্র শিবিরের তিন কর্মীকে ১৪ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে একটি আদালত।
Published : 31 Aug 2016, 06:35 PM
দণ্ডিত নুরুন্নবী ওরফে ম্যাক্সন, মো. সরোয়ার ওরফে বাবলা, মো. মানিক ওরফে গিট্টু মানিক তিনজনই চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।
তারা আট ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত পলাতক সাজ্জাদের সহযোগী ছিলেন।
বুধবার চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইবুনাল-৭ এর বিচারক বিলকিস আক্তার পাঁচ বছর আগের অস্ত্র মামলাটির রায় ঘোষণা করেন।
আসামিদের মধ্যে ম্যাক্সন ও সরোয়ার রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মানিক জামিনে ছাড়া পেয়ে পলাতক বলে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নাজিম উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আসামিদের অস্ত্র আইনের ১৯ (ক) ধারায় ১৪ বছর এবং গুলি রাখার দায়ে ১৯ (চ) ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। দুটি সাজা এক সঙ্গে কার্যকর হবে।
২০১১ সালের ৪ জুলাই রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিঙ্গার বিল এলাকার বিশ্বরোড চৌরাস্তা এলাকা থেকে বায়েজিদ বোস্তামী থানার তৎকালীন ওসি এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ম্যাক্সন ও সরোয়ারকে গ্রেপ্তার করে।
তাদের চট্টগ্রামে আনার পর বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওয়াজেদিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মানিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
তাদের তথ্যে ওয়াজেদিয়া এলাকার একটি পুকুর থেকে একটি এ কে-৪৭ রাইফেল, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশীয় বন্দুক, একটি ওয়ান শুটার গান, একটি এলজি, দুটি ম্যাগাজিন ও ২৭ রাউন্ড এ কে-৪৭ রাইফেলের গুলি উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
তদন্ত শেষে বায়েজিদ বোস্তামী থানার তৎকালীন এসআই বর্তমানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত জহির হোসেন ওই বছরের ৮ অগাস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
পরের বছরের ২৬ জানুয়ারি আদালত তিন আসামির অভিযোগ গঠন করেন।
২০১১ সালের ৬ জুলাই নগর পুলিশ সদর দপ্তরে সরোয়ার ও ম্যাক্সন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তাদের ‘বড় ভাই’ চট্টগ্রামের আলোচিত আট ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী হত্যার অন্যতম আসামি ‘শিবির ক্যাডার’ সাজ্জাদের নেতৃত্বে কাজ করতেন তারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ম্যাক্সনের শ্বশুরবাড়ি। আখাউড়া সীমান্তে ফেনসিডিল সেবন করে মোটর সাইকেল করে আসার সময় তাকে ও সরোয়ারকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
সরোয়ার ও ম্যাক্সনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানিয়েছিল, তারা বায়েজিদ, অক্সিজেন ও খুলশী এলাকায় জায়গা দখলসহ চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত।