সভাপতি পদ পাওয়ার ‘আশ্বাস’ পেলেও তা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ বিএনপির নবগঠিত চট্টগ্রাম নগর কমিটির সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান।
Published : 09 Aug 2016, 01:07 AM
নতুন পাওয়া সহ-সভাপতি ‘পদ ছাড়তে’ তার উপর নেতা-কর্মীদের চাপ রয়েছে দাবি করে তিনি বলেছেন, দুয়েকদিনের মধ্যেই ঢাকায় গিয়ে দলীয় চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
কমিটির ঘোষণার দুদিন বাদে সোমবার সকালে নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ে চান্দগাঁও বিএনপির নামে আবু সুফিয়ানের অনুসারী যুবদল ও ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা তাকে সভাপতি পদ না দেওয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করে।
এরপর বিকালে নগর বিএনপির নতুন কমিটির গণসংবর্ধনায়ও যাননি সুফিয়ান।
নগরীর নূর আহাম্মদ সড়কে দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে ওই সংবর্ধনার আয়োজন করে নগর বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলো। এতে উপস্থিত ছিলেন নগর কমিটির নতুন সভাপতি শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।
সোমবার রাতে যোগাযোগ করা হলে আবু সুফিয়ান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যাওয়ার অবস্থা নেই আসলে। ডা. শাহাদাত ও আবুল হাশেম বক্কর ফোন করেছিল।
“তাদের বলেছি- ফুলগুলো আপনারাই নিন। পুলিশের মার খাওয়ার সময় আমরা আসব।”
ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আবু সুফিয়ানের অনুসারী নেতা-কর্মীদেরও দেখা যায়নি।
দলীয় কার্যালয়ে ‘যাওয়ার অবস্থা কেন নেই’- জানতে চাইলে সুফিয়ান বলেন, “প্রেসিডেন্ট করবে বলল, অথচ করল ভাইস প্রেসিডেন্ট।
“গত জুনে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সাথে দেখা করি। সেখানে আবদুল্লাহ আল নোমান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ছিলেন।”
“তাদের উপস্থিতিতে ম্যাডাম আমাকে বলেন- প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দিলে পারব কি না। আমি বলেছি- পারব। তারপর আমি চলে আসি। এখন দেখি ভাইস-প্রেসিডেন্ট দিয়েছে।”
এখন সহ-সভাপতির পদ ছাড়তে অনুসারীদের পক্ষ থেকে চাপ আছে বলে জানান সুফিয়ান।
প্রত্যাশিত পদ না পাওয়ায় চট্টগ্রাম বিএনপির অনেক নেতার মধ্যেই অসন্তোষ আছে।
পদ না পাওয়া অন্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে সুফিয়ান বলেন, “কারও সাথে আলাপ হয়নি।”
সংবর্ধনায় আবু সুফিয়ানকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে নতুন সভাপতি শাহাদাতের ব্যক্তিগত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী বলেন, “আমি উনাকে ফোন করেছিলাম। স্যারও (শাহাদাত) ফোন করেছেন, কিন্তু তিনি আসেননি।”
কেন্দ্র থেকে ঘোষিত চট্টগ্রাম বিএনপির নতুন কমিটিতে তিনজনের নামই ঘোষণা করা হয়।
এরআগে ২০০৯ সালের ১৬ নভেম্বর মারামারিতে পণ্ড হওয়া সম্মেলনের ২৫ দিন পর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে নগর কমিটির সভাপতি ও শাহাদাতকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
পরে আরও তিন সহ-সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়। তাদের মধ্যে দস্তগীর চৌধুরী কয়েক বছর আগে মারা যান। অপূর্ণাঙ্গ ওই কমিটি সাত বছর পার করার পর শনিবার নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করা হয় কেন্দ্র থেকে।