চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও পারকি সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে অবকাঠামো নির্মাণে ৪৩ একর জায়গা অধিগ্রহণ করবে জেলা প্রশাসন।
Published : 11 Feb 2016, 03:11 PM
বুহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় এ কথা জানান জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।
তিনি বলেন, “নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে পাঁচ একর ও আনোয়ারা উপজেলার পারকি সৈকতে ৩৮ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হবে। আগামী দুই মাসের মধ্যে এ অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।”
অধিগ্রহণ করা জমিতে হোটেল-মোটেলসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি।
মেজবাহ উদ্দিন বলেন, “আগামী এক বছরের মধ্যে এ দুটি সমুদ্র সৈকতে মৌলিক পরিবর্তন আসবে। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও খুব আন্তরিক।”
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এই দুই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। অধিগ্রহণ শেষ হলে খুব দ্রুত ডিটেইল প্রজেক্ট প্ল্যানও (ডিপিপি) প্রণয়ন হয়ে হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সৈকত ব্যবস্থাপনা সভায় ট্যুরিস্ট পুলিশের চট্টগ্রাম সুপার মো. নওরোজ বলেন, “ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠনের পর থেকে সমুদ্র সৈকতগুলোতে নিরাপত্তার দৃশ্যমান উন্নতি ঘটেছে।”
পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকলে ট্যুরিজম ব্যাহত হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, “ট্যুরিস্ট পুলিশের নীতিমালা এখনো খসড়া পর্যায়ে আছে। সেটি চূড়ান্ত হলে ট্যুরিস্ট পুলিশের কাজ আরও গতি পাবে।”
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. ওয়াহিদুল হক বলেন, “পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে পার্কিংয়ের কোনো জায়গা নেই। নেই উন্নত মানের শৌচাগারের ব্যবস্থা। ফলে পর্যটকরা নানা অসুবিধার মধ্যে পড়েন।”
প্রতি শুক্র ও শনিবার সাধারণ পর্যটকদের সুবিধার্থে বিআরটিসির বাস সার্ভিস চালুর দাবিও জানান তিনি।
সভায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিসসহ কয়েকটি সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।