ওই ছাত্রী অধ্যাপক মাহবুবুল মতিনের তত্ত্বাবধানে স্নাতকোত্তরের থিসিস করছিলেন।
Published : 17 Feb 2024, 12:00 AM
ছাত্রীকে হেনস্তা ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবুল মতিনকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ রীতি নির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিকাল ৪টা থেকে রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত চলে সিন্ডিকেটের এই সভা।
সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এ বিষয়ে দুটি তদন্ত কমিটি রিপোর্ট করেছে। তাদের রিপোর্ট যাচাই-বাছাই করে আমরা অধ্যাপক মাহবুবুল মতিনকে চাকরি থেকে অপসারণের সুপারিশ করেছি।"
গত ৩১ জানুয়ারি মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে উপাচার্য শিরীণ আখতার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন তারই বিভাগের এক ছাত্রী।
সেখানে বলা হয়, ওই ছাত্রী অধ্যাপক মাহবুবুল মতিনের তত্ত্বাবধানে স্নাতকোত্তরের থিসিস করছিলেন। থিসিস চলাকালে সুপারভাইজারের ‘যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের’ শিকার হন তিনি।
ল্যাবে একা কাজ করার সময় এবং কেমিকেল দেওয়ার বাহানা করে ওই শিক্ষক নিজের কক্ষে ডেকে দরজা আটকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলেও সেখানে অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মাহবুবুল মতিনের শাস্তির দাবিতে লাগাতার আন্দোলন নামে।
এই প্রেক্ষাপটে ১ ফেব্রুয়ারি ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন কেন্দ্রের অভিযোগ কমিটি তদন্ত শুরু করে।
গত সপ্তাহে কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর সিন্ডিকেটের জরুরি সভা ডাকেন উপাচার্য শিরীণ আখতার। সেই সভায় বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবুল মতিনকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হল।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অধ্যাপক মাহবুবুল মতিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমি শুনেছি এরকম একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। তদন্ত যদি ঠিকঠাক হত, তাহলে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের মিথ্যাচার উঠে আসত। সত্যটা আজ হোক কাল হোক আমি তুলে আনব।
“এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার বাসায়ও অনেকে ঝামেলা করেছে। প্রক্টরের কাছে এ বিষয়ে জানালে তারা কেউ দেখতেও আসে নাই।”
পুরনো খবর...
‘ধর্ষণচেষ্টার’ অভিযোগ, চবি শিক্ষককে বরখাস্তের দাবিতে আন্দোলন