“তৈয়ব বলেছেন মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে ২০/২৫ বছর ধরে তিনি আনোয়ারা থাকছিলেন। মেয়ের পরিচয়পত্র নেওয়ার জন্য তার প্রতিবেশী ইসমাইলকে বাবা সাজিয়ে আবেদন করেছেন।”
Published : 11 Dec 2024, 09:20 PM
চট্টগ্রামে পরিচয় গোপন করে জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার চেষ্টায় ছবি তুলতে গিয়ে ধরা পড়েছেন এক রোহিঙ্গা তরুণীসহ তিন জন। নির্বাচন কর্মকর্তারা তাদের পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
বুধবার আনোয়ারা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে এ ঘটনায় আটকদের মধ্যে দুইজন রোহিঙ্গা এবং একজন বাংলাদেশি বলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু জাফর মো. সালেহ জানিয়েছেন।
আটক তিনজন হলেন- রোহিঙ্গা তরুণী সুমাইয়া আক্তার (১৯), তার বাবা মো. তৈয়ব (৫০) এবং তাদের সহায়তাকারী বাংলাদেশি নাগরিক মো. ইসমাইল (৬৫)। ইসমাইলের বাড়ি আনোয়ারা উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু জাফর মো. সালেহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সুমাইয়া পরিচয় গোপন করে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে আবেদন করেছিলেন। বুধবার ছবি তুলতে এবং আঙুলের ছাপ দিতে গেলে সন্দেহ হওয়ায় তার ভাই বোন এবং স্বজনদের পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি কিছুই বলতে পারছিলেন না।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সুমাইয়া নিজের ‘রোহিঙ্গা পরিচয় স্বীকার করে নেন’ জানিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা সালেহ বলেন, “সুমাইয়ার সঙ্গে তার বাবা তৈয়ব এবং ইসমাইলও নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। আবেদনে নিজের বাবার নাম তৈয়বের পরিবর্তে ইসমাইল লিখেছিল সুমাইয়া।”
সুমাইয়ার বাবা তৈয়বকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা সালেহ বলেন, “তৈয়ব বলেছেন মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে ২০/২৫ বছর ধরে তিনি আনোয়ারা থাকছিলেন। মেয়ের পরিচয়পত্র নেওয়ার জন্য তার প্রতিবেশী ইসমাইলকে বাবা সাজিয়ে আবেদন করেছেন।”
এ ঘটনায় তিনজের বিরুদ্ধে জাতীয় পরিচয়পত্র আইনসহ একাধিক ধারায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান সালেহ।