অভিযান চালিয়ে পাচার চক্রের মো. তারেক (৩৪) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম পুলিশ।
Published : 25 Jun 2024, 01:50 AM
মোটা মাইনের ভালো চাকরির কথা বলে ভারতে নারী পাচার করা একটি চক্রের খোঁজ পাওয়ার খবর দিয়েছে চট্টগ্রামের পুলিশ, যারা সম্প্রতি পাচার হওয়া এক তরুণীর কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেয়েছিল।
নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি সঞ্জয় সিনহা বিডিনিউজ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই তরুণীর মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চক্রের সঙ্গে জড়িত মো. তারেক (৩৪) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ চক্রের সঙ্গে নারীসহ দুই দেশের বেশ কয়েকজন দালাল জড়িত বলে জানতে পেরেছে বায়েজিদ বোস্তামী থানা।
ওসি সঞ্জয় বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে পোশাক কারখানায় চাকরি করা দুই তরুণীকে ভারতের রাচীতে বিউটি পার্লারে চাকরির কথা বলে পাচার করে তারেক ও তার সহযোগীরা।
দেশে ফিরে আসা তরুণীর সঙ্গে কথা বলে তারা জানতে পেরেছেন, গত ২৯ মে দুই তরুণীকে যশোর হয়ে ভারতে নিয়ে যায় তারেক। সেখান থেকে এক তারুণী স্থানীয় এক নারীর সহযোগিতায় গত ৬ জুন দেশে ফিরে আসেন।
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাসিন্দা তারেক চট্টগ্রামে বিভিন্ন ডিজে পার্টিতে নাচ-গান করার সুবাদে পাচারকারী চক্রের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয় বলে গ্রেপ্তারের পর তারেক পুলিশকে এ কথা বলেছেন।
ওসি বলেন, তারেকের স্ত্রী ঝুমা আক্তার পাচারকারী চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কাজ করতেন এবং তার অপর সহযোগী পারভীন বিভিন্ন পোশাক কারখানায় চাকরি করে তরুণীদের ভারতে যাওয়ার জন্য প্রলুদ্ধ করতেন।
পালিয়ে আসা ওই তরুণীর করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, তিনি রংপুর থেকে চট্টগ্রামে পোশাক কারখানায় চাকরি করতে আসেন। তার বান্ধবীর বাড়ি চাঁদপুরে। গত এপ্রিলে তারা চাকরি ছেড়ে দেন।
চাকরি ছাড়ার পর নতুন চাকরি খোঁজার সময় তাদের পূর্ব পরিচিত পারভীনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। এ সময় তিনি মাসিক ৪০ হাজার টাকা বেতনে তাদের ভারতের রাচীতে চাকরির কথা বলে তারেকের স্ত্রী ঝুমার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
ওই তরুণী অভিযোগ করেন, গত ২৯ মে রাতে তারেক, তার স্ত্রী ঝুমা ও পারভীন মিলে তাদের বাসে করে যশোর নিয়ে যান, সেখান থেকে অবৈধভাবে ভারতে নিয়ে যান।
মামলায় ভারতে এবং দেশে বিভিন্ন দালাল ও ভারতের রাচীতে নিয়ে হোটেলে আটকে রেখে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগ করা হয়। পাশাপাশি কীভাবে পালিয়ে এসেছে এবং অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার বর্ণনাও রয়েছে মামলায়।
ওসি সঞ্জয় সিনহা বলেন, অভিযোগকারী তরুণী দেশে ফিরতে পারলেও তার বান্ধবী আসতে পারেননি। মামলায় আসামি হিসেবে ঝুমা, পারভীন ও আনিছুর রহমানকে আরেকজনের নাম বলা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।