স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, রফিক গত আওয়ামী লীগের শাসনামলে এলাকায় ছিলেন না। গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পতনের পর তিনি এলাকায় ফিরে আসেন।
Published : 01 Sep 2024, 09:46 PM
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে।
মিরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে (ইকনোমিক জোন) এস কিউ কেবলস নামের একটি কারখানার বাইরে শনিবার রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার সকালে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাবার পথে মোহাম্মদ রফিক নামে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি মিরসরাই উপজেলার ১৬ নম্বর সাহেরখালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। সাবেক এই ইউপি সদস্যের বাবার নাম তাজুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা জানান, শনিবার রাতে তিনটি অটোরিকশায় করে ১১ থেকে ১২ জন লোক দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে এসকিউ কেবলস কারখানার কাছে এলে নিরাপত্তাকর্মীরা ডাকাত সন্দেহে চিৎকার শুরু করেন। তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন বেরিয়ে এসে তাদের আটকে পিটুনি দেয়।
শিল্প পুলিশের স্থানীয় ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. শওকত হোসেন বলেন, “এসকিউ কেবলসে বেশ কিছুদিন ধরে চোরের উৎপাত চলছিল। বিভিন্ন সময়ে থানায় মামলাও হয়েছে এসব ঘটনায়।”
নির্মাণাধীন কারখানাটি খোলা জায়গায় হওয়ায় অনেকটাই অরক্ষিত ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “তিনটি অটোরিকশায় করে বেশকিছু লোক ওই এলাকায় যাওয়ার সময় চোর সন্দেহে ১১-১২ জনকে আটকে ফেলে পিটুনি দেয়। রোববার সকালে সেখান থেকে রফিক নামে একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাবার পথে মারা যায়।”
ওই ঘটনার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এসকিউ কেবলসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এহসানুল কবীর জানান, কারখানার বাইরের রাস্তায় অটোরিকশা করে অনেকে আসায় ডাকাত সন্দেহে সিকিউরিটি গার্ডরা চিৎকার করে।
“আশেপাশের বিভিন্ন কারখানার সিকিউরিটির লোকজন ও উপকূলে মাছ ধরতে আসা স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাদের পিটুনি দেয়।”
তিনি বলেন, “আমাদের কারখানায় এর আগেও বেশ কয়েকবার চুরির ঘটনা ঘটেছিল। সেকারণে আমাদের লোকজন সচেতন ছিল।”
মিরসরাই স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সরওয়ার উদ্দিন সেলিম জানান, রফিক ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, রফিক গত আওয়ামী লীগের শাসনামলে এলাকায় ছিলেন না। গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পতনের পর তিনি এলাকায় ফিরে আসেন।