দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোর এবং রাজশাহীতে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
Published : 22 Apr 2025, 10:53 PM
বৈশাখের প্রথম ভাগে দেশের সব বিভাগেই কমবেশি বৃষ্টির পর ফের তাপমাত্রা বেড়েছে।
দেশের চারটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আরও বিস্তার লাভ করতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার দিনভর রাজধানীতে রোদ-মেঘের লুকোচুরি চলেছে, সঙ্গে ভ্যাপসা গরমও। মাঝেমধ্যে বাতাসের ঝাপটাও লেগেছে গায়ে।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগামী দুই-তিন দিন আবহাওয়া এমনই থাকবে।
“সিলেট ছাড়া দেশের সব বিভাগেই বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করবে। চলতি মাসের শেষ দিকে আবারও বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে।”
আবহাওয়া অধিদপ্তর মঙ্গলবার সন্ধ্যার বুলেটিনে জানিয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বইতে থাকা মৃদু তাপপ্রবাহ আরও ছড়াবে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। সেই সঙ্গে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপামাত্রাও সামান্য বাড়তে পারে।
সাধারণত, থার্মোমিটারের পারদ যদি ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে, আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়।
গেল ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে দেশের সর্বোচ্চ ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া, রংপুরে ৪৪ মিলিমিটারসহ কয়েকটি জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এই সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোর এবং রাজশাহীতে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পার্বত্য জেলা বান্দরবানে ২১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।