বাক প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ-হত্যা: পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুদণ্ড

মামলায় বলা হয়, ধর্ষণের শিকার বাকপ্রতিবন্ধী নারীকে হত্যা করে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে ওই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেন জালাল।

চট্টগ্রামে পরীর পাহাড়ে অবস্থিত আদালত ভবন

আট বছর আগে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় এক বাক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ ওসমান গণি মঙ্গলবার এই রায় দেন।

দণ্ডিত মো. জালালের (৩৫) বাড়ি কক্সবাজার জেলার টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায়। চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার শহীদ নগর এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থেকে তিনি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

ট্রাইব্যুনালের পিপি হাবিবুর রহমান আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি জালালকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছে আদালত। সেইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। রায় ঘোষণার পর জালালকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।"

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২ মার্চ আসামি জালালের সাথে চট্টগ্রাম নগরীতে আসেন বাকপ্রতিবন্ধী ওই নারী। তার বাড়িও টেকনাফ উপজেলায়।

পূর্ব পরিচিত হওয়ায় জালাল ওই নারীকে শহরে এনে তার নিজের ভাড়া বাসায় থাকতে দেন। ওই বাসায় জালালের স্ত্রীও থাকতেন। পরে তিনি ওই নারীকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরির ব্যবস্থা করে দেন।

২০১৫ সালের ১৯ মার্চ ওই নারী চাকরিতে যাননি। সেদিন জালালের স্ত্রীও বাসায় ছিল না। এ সুযোগ জালাল ওই নারীকে ধর্ষণ করেন।

এরপর ধর্ষণের শিকার বাকপ্রতিবন্ধী নারীকে হত্যা করে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে ওই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেন জালাল।

পরে পুলিশ জালালকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি খুনের ঘটনা স্বীকার করেন। ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে জালালকে একমাত্র আসামি করে চান্দগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১৬ সালের ১০ মার্চ জালালের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।

মামলায় আট জনের সাক্ষ্য শুনে মঙ্গলবার আদালত জালালকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিল।