তবে জাহাজ আসার সংখ্যা এবং কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ আগের চেয়ে বেড়েছে।
Published : 02 Jul 2023, 09:48 PM
সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে ৩০ লাখ সাত হাজার ৩৪৪ টিইইউ কন্টেইনার ওঠানো-নামানো হয়েছে, যা আগের অর্থ বছরের চেয়ে দুই লাখ ৪৮ হাজার ১৪ টিইইউ কম।
তবে জাহাজ আসার সংখ্যা এবং কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ আগের চেয়ে বেড়েছে।
বন্দর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে আমদানি-রপ্তানি মিলিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল ৩২ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৮ টিইইউ (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেইনার)।
আর ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে এ বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল ৩০ লাখ ৯৭ হাজার ২৩৬ টিইইউ।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট, ডলার সংকটসহ বিভিন্ন কারণে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কম হলেও সামগ্রিক বিবেচনায় সদ্য শেষ হওয়া অর্থ বছরে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা কমেনি বলে কর্মকর্তারা মনে করছেন।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চলমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এটাকে কম মনে করি না আমরা। বৈশ্বিক মন্দা, ডলার সংকটসহ বিভিন্ন কারণে গত অর্থ বছরে আমদানির কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কমেছে। এতে আমাদের সক্ষমতা কম বলা যাবে না।
“এখনও কন্টেইনার রাখার ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ জায়গা আমাদের খালি রয়েছে। ইক্যুইপমেন্টও পর্যাপ্ত রয়েছে। সুতরাং আমরা এর চেয়ে অনেক বেশি হ্যান্ডলিং করতে সক্ষম।”
বন্দর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শেষ হওয়া অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ১১ কোটি ৮২ লাখ ৯৬ হাজার ৭৪৩ মেট্রিক টন। ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে এই পরিমাণ ছিল ১১ কোটি ৮১ লাখ ৭৪ হাজার ১৬০ টন।
অর্থাৎ এক বছরে কার্গো হ্যান্ডলিং বেড়েছে এক লাখ ২২ হাজার ৫৮৩ টন। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ ছিল ১১ কোটি ৩৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৭৩ টন।
সদ্য শেষ হওয়া অর্থ বছরে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা মোট জাহাজের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ২৫৩টি। আগের অর্থ বছরে এ সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ২৩১টি। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে জাহাজ এসেছিল ৪ হাজার ৬২টি।
বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, “কন্টেইনারে করে বিলাসদ্রব্য বেশি আসে, কার্গো পণ্যের বেশিরভাগই প্রয়োজনীয় পণ্য। সে কারণে এবারে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কম। এরপরও চট্টগ্রাম বন্দর তার কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে গতিশীলতা ধরে রেখেছে।”
ভবিষ্যতেও চট্টগ্রাম বন্দর তার সক্ষমতা ধরে রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।