চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সম্মেলন স্থগিত, নগর সম্মেলন অনিশ্চয়তায়

পলোগ্রাউন্ডে শেখ হাসিনার জনসভা নিয়েই এখন ব্যস্ত আওয়ামী লীগ নেতারা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Nov 2022, 07:47 PM
Updated : 16 Nov 2022, 07:47 PM

দলীয় সভানেত্রীর জনসভা থাকায় ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে কেন্দ্র থেকে।

৪ ডিসেম্বর দলীয় সভানেত্রীর জনসভা হবে নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে। জনসভা ‍উপলক্ষে আয়োজিত ৯ নভেম্বরের প্রতিনিধি সভায় ১৮ ডিসেম্বর নগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।

কিন্তু ওয়ার্ড সম্মেলন স্থগিত হওয়ার পর নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলছেন, ওয়ার্ড ও থানাগুলোর সম্মেলনের পরই নগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে।

তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার কেন্দ্রের বলেও মনে করেন তিনি।

৯ নভেম্বর প্রতিনিধি সভায় চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এক বছর আগে শুরু করা চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের তৃণমূলের সম্মেলনগুলো শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সেদিনের সভায় তিনি বলেছিলেন, “৪ ডিসেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন ছিল। যেহেতু সেদিন নেত্রীর শুভাগমন, তাই করতে পারছি না। মাননীয় নেত্রীর কাছে সদয় অনুমোদন নিয়ে ১৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনটি করতে চাই।”

ওই সভার পরই আবারও নগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ডগুলোর সম্মেলন করার তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। এক সপ্তাহ পরই বুধবার নগর কমিটির অধীন ওয়ার্ডগুলোর সম্মেলন স্থগিত করার বিষয়টি জানা গেল।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “৪ ডিসেম্বর আমাদের নেত্রীর জনসভা আছে। তাই সে পর্যন্ত ওয়ার্ড সম্মেলনগুলো বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে জানাব।”

এদিকে বুধবার নগরীর লেডিস ক্লাবে লালখান বাজার ওয়ার্ডের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারিত ছিল। এই নির্দেশনার পর অনুষ্ঠানে ৪ ডিসেম্বরের জনসভা সফল করতে প্রস্তুতি কমিটি গঠন করে দিনের কার্যক্রম সমাপ্ত করা হয়। সম্মেলন আর হয়নি।

বৃহস্পতিবার ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারিত আছে। তবে এটির ক্ষেত্রেও লালখান বাজার ওয়ার্ডের মতই ঘটতে পারে বলে দলের নেতারা জানিয়েছেন।

নগর আওয়ামী লীগের ১৫টি থানা, ৪৩টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড এবং ১২৯টি ইউনিট আছে। এখন পর্যন্ত ১০৬টি ইউনিট এবং ২টি ওয়ার্ড সম্মেলন করা হয়েছে।

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন আমাদের নেত্রীর জনসভা হবে। আমরা সে বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি। তাই ওয়ার্ডের সম্মেলনগুলো স্থগিত করা হয়েছে।

“নগর সম্মেলনের তারিখ এর আগেও দেয়া হয়েছিল। বিভিন্ন কারণে তা পরিবর্তনও হয়েছে। নগর সম্মেলন কখন হবে তা পুরোপুরি কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। সাংগঠনিকভাবে ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানার সম্মেলন শেষ করলেই আমরা নগর সম্মেলন করতে পারব।”

“ওয়ার্ডের সম্মেলন নিয়ে তাড়াহুড়ো নেই। আগে জনসভা হোক। তারপর করা হবে। আগে ওয়ার্ড ও থানার সম্মেলন হবে এরপর মহানগরের সম্মেলন হবে,” বলেন তিনি।

৪ ডিসেম্বরের পর থেকে সম্মেলনের নির্ধারিত দিন ১৮ ডিসেম্বরের আগে অবশিষ্ট ওয়ার্ড ও থানার সম্মেলন শেষ করা সম্ভবপর নয় বলে জানিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের নেতারা।

নগর আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুয়েকটি ওয়ার্ডের সম্মেলন হয়ত করা সম্ভব হবে। সব কখনোই এত অল্প সময়ে হবে না। আর মহানগরের সম্মেলন কখন হবে সেটা কেন্দ্রীয় কমিটিই সিদ্ধান্ত দেবে।”