অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
Published : 24 Jun 2023, 11:32 PM
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতির কোনো মূল্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৪ বছর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ দুটি সংগঠন দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে অভিযোগ করে তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন হচ্ছে দেশের ভূমি ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার নির্বাচন। দেশ কি পাকিস্তান হবে, না কি দেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অভিযাত্রায় আরও দ্রুত বেগে এগিয়ে চলবে- সেটির ফয়সালা হবার নির্বাচন।
"এই দেশে কোনো তাবেদারি সরকার বসবে না কি যারা দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেবে- তারা বসবে, না কি শেখ হাসিনার মতো স্বাধীনচেতা জননেত্রীর নেতৃত্বে সরকার থাকবে সেটি ফয়সালা হবার নির্বাচন।"
সংবাদপত্রে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, “পত্রিকায় তারা বিবৃতি দিয়েছে- আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যারা র্যাবে কাজ করবে কিংবা মানবাধিকার লংঘনের সাথে যুক্ত থাকবে তাদেরকে যেন স্ক্রিনিং করা হয় এবং শান্তিরক্ষী বাহিনীতে না নেওয়া হয়।
“আমরা অ্যামনেস্টিকে চিনি, তারেক রহমানের বেয়াইন আইরিন খান অ্যামনেস্টির জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন। এখনও অ্যামনেস্টির সাথে যুক্ত আছেন। তিনি তারেক রহমানের বউয়ের চাচাতো বোন। এই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যুদ্ধাপরাধীদের যখন বিচার শুরু হল, তখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য বিবৃতি দিয়েছিল।
"২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যখন বিএনপি-জামাত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছিল তখন সেটার বিরুদ্ধে কোন বিবৃতি দেয়নি। আরেকটা সংগঠন আছে- হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। ওনারাও মাঝে মধ্যে বিবৃতি দেয়।"
এ প্রসঙ্গি তিনি তিনি আরও বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ- এগুলোর বিবৃতি কিভাবে হয়, কোথায় ড্রাফট হয় আর কিসের বিনিময়ে এই বিবৃতি আসে সেটা আমরা জানি।
“যারা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য বিবৃতি দেয়, ফিলিস্তিনে পাখি শিকারের মতো যেভাবে মানুষ শিকার করা হয় তখন ইসরাইলের বিপক্ষে কোন বিবৃতি দেয় না। আমাদের এগুলো নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার নৈতিক কোনো অধিকার তাদের নাই। আমাদের দেশের কিছু পত্রপত্রিকা সেগুলোকে বড় করে ছাপায়। এই বিবৃতির কোন মূল্য নাই।“
হাছান মাহমুদ বলেন, আপনাদের মনে আছে ২০০২ সালে যখন বিএনপি ক্ষমতায়, তখন বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে রেজুলেশন পাশ করেছিল- বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘন হচ্ছে এবং আওয়ামী লীগসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর দমন-নিপীড়ন হচ্ছে। তখন সাতশ’র বেশি পার্লামেন্ট মেম্বার ছিল।
“এখন ৭০৫ জনের মধ্যে মাত্র ৫ জন একটা চিঠি দিয়েছে। এগুলোতে ওনাদের কী লেগেছে জানি না, সম্ভবত কাতুকুতু লেগেছে।“
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মঈনুদ্দীন, এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, আফতাব উদ্দিন চৌধুরী।