চট্টগ্রামে ১৩ বছর আগের খুনে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড

জমি দখলের চেষ্টায় বাধা দেওয়ায় ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2023, 02:32 PM
Updated : 31 May 2023, 02:32 PM

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকায় ১৩ বছর আগে এক ব্যক্তিকে খুনের ঘটনায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত দুজন হলেন- কর্ণফুলী থানার খোয়াজ নগর এলাকার মৃত জহুর আহমদের ছেলে মো. জাবেদ (৩৮) এবং একই এলাকার মৃত মাইজ্যা মিয়ার ছেলে হাবিজ আহাম্মদ (৬৩)।

আর যাবজ্জীবন সাজার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মিন্টু মিয়া খোয়াজ নগরের ছবির আহাম্মদের ছেলে।

অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- নুরুল আলম মেম্বার, হোসনে আরা, তারা বানু ও পেয়ার আহমদ।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল মোস্তফা মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৩০২ ধারায় দুই আসামি জাবেদ ও হাবিজকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরেক আসামি মিন্টু মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। দণ্ডিত তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ৫ নভেম্বর সকালে কর্ণফুলী থানার খোয়াজ নগর এলাকায় স্থানীয় মো. আবদুস সবুরের জমিতে আসামিরা পিলার দিয়ে অবৈধ দখলের চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন।

এসময় আসামিরা ছুরি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আবদুস সবুর ও তার ভাই আবদুল করিমের উপর হামলা চালায়। পরে পরিবারের নারী সদস্যরা এগিয়ে আসে। এসময় ছুরিকাঘাতে সবুর ও করিম গুরুতর আহত হয়। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে আবদুস সবুর মারা যায়।

ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী খুরশিদা বেগম বাদী হয়ে ১০ আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে কর্ণফুলী থানার এসআই উৎপল বড়ুয়া ২০১১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।

অভিযোগপত্রে থাকা আসামি ফরিদ আহমদ ২০১৫ সালে এবং ছবির আহমদ ২০১৬ সালে মারা গেলে পরে তাদের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।