আপাতত প্যাথলজি কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
Published : 17 Jul 2023, 09:56 PM
ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামের একটি রোগ নির্ণয়কেন্দ্রকে শোকজ করেছেন সিভিল সার্জন।
পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্যাথলজি কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিকে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী সোমবার এক চিঠিতে নগরীর ওআর নিজাম সড়কের ওই ল্যাবকে এ নির্দেশ দেন।
সেখানে বলা হয়, ১৬ জুলাই এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, সরকার নির্ধারিত ফি ৩০০ টাকা হওয়ার পরও শেভরনে ডেঙ্গুর এনএসওয়ান পরীক্ষায় ১৬০০ টাকা এবং আইজিজি/আইজিএম পরীক্ষার ফি ১২০০ টাকা নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শেভরন জানিয়েছে, তাদের একজন নতুন কর্মী বুঝতে না পেরে পরীক্ষার ফি বেশি নিয়েছে। আগামীকাল আমরা সরেজমিন সেখানে যাব।
“আপাতত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের প্যাথলজি কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। আগে যারা পরীক্ষা করেছেন, তাদের রিপোর্ট দিয়ে দিতে বলেছি। নতুন করে আপাতত নমুনা সংগ্রহ হবে না। সাধারণ মানুষ কোনোভাবে ভোগান্তির শিকার হোক, এটা আমরা চাই না।”
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, “পরিদর্শনে আমরা দেখব, সরকার নির্ধারিত মূল্য তালিকা অনুসরণ করে তারা অন্যান্য টেস্ট করেন কি না। তারপর সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”
শেভরনকে দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিসে সিভিল সার্জন বলেন, “ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় রোগীদের সেবা প্রদানের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার সরকারি নির্দেশনা থাকা স্বত্ত্বেও একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে অতিরিক্ত ফি আদায় করে আপনার প্রতিষ্ঠান দায়িত্বহীনতার ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ কর্ম সম্পাদন করেছে।
“যেহেতু ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি গ্রহণ সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত আপনার প্রতিষ্ঠানকে অত্র কার্যালয় থেকে ইতিপূর্বে অবহিত করা হয়। তথাপি অতিরিক্ত ফি আদায় জনগণের নিরবিচ্ছিন্ন সেবা কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে।”
এ কারণে কেন প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এর ব্যাখ্যা, ল্যাব পরিচালনার লাইসেন্স ও অন্যান্য প্রমাণসহ তিন দিনের মধ্যে সিভিল সার্জনকে জানাতে বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি প্রাইভেট লিমিটেডের জিএম পুলক পারিয়াল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নভেম্বরে সরকারি নির্দেশনা দেওয়ার পর থেকেই ডেঙ্গু পরীক্ষায় আমরা ৩০০ টাকা ফি নিই। আমাদের তখন থেকে আজ পর্যন্ত সব ডকুমেন্ট আছে।
“আমাদের একজন নতুন কর্মী ভুলবশত বেশি ফি নিয়েছিল ম্যানুয়ালি। একটাই ভুল হয়েছে। টাকাও ফেরত দেওয়া হয়েছে গ্রাহককে। অভিযোগের ভিত্তিতে সিভিল সার্জন মহোদয় নির্দেশ দিয়েছেন। উনারা কাল পরিদর্শনে আসবেন। আশা করি তখন বিষয়টি ক্লিয়ার হবে।”