বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কথা না বলে রাত আড়াইটা পর্যন্ত থেমে থেমে গুলি করতে থাকেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Published : 24 Oct 2022, 06:37 PM
ঘর থেকে প্রায়ই গুলি ছুড়তেন বলে তার নামে স্বজনদের আগে থেকেই অভিযোগ ছিল। এরমধ্যে গুলি ছুড়ে আহত করেন ভাতিজাকেও। এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ এলে আবারও গুলি ছোড়েন তিনি।
বিভিন্নভাবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কথা না বলে গত সোমবার রাত আড়াইটা পর্যন্ত থেমে থেমে গুলি করতে থাকেন বলে জানায় পুলিশ।
এলাকায় আলোচনা তৈরি করা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন হাটহাজারীর দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান।
অবশেষে সোমবার সকাল ৮টার দিকে প্রায় ১০ ঘন্টার চেষ্টায় ৮০ বছরের বেশি বয়সী এই বৃদ্ধকে আটক করতে পেরেছে বলে জানিয়েছেন হাটহাজারী থানার ওসি রুহুল আমিন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ”সারা রাত বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও না পেরে সকাল আটটার দিকে কৌশলে হাবিবুর রহমানের ঘরের দরজা ভেঙ্গে পুলিশ প্রবেশ করে।”
পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার সময় তার ঘর থেকে লাইসেন্স করা একটি শটগান ও একটি রিভলবার এবং প্রায় ৫০ রাউন্ড শটগানের ও তিন রাউন্ড রিভলভারের গুলি জব্দ করা হয়।
হাবিবুর স্বাধীনতার পরপরই ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন বলে জানান দক্ষিণ মার্দাশা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সরওয়ার।
তার অকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনা নিয়ে স্বজনদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার রাতে পারিবারিক বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে যোগ দিতে হাবিবুরকে ডাকতে যান তার ভাতিজা জসীম উদ্দিন। এসময় গুলি ছুড়ে আহত করেন জসিমকে।
ওসি রুহুল জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাবিবুরের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি কথা না বলে বারবার গুলি ছোড়েন। রাত আড়াইটা পর্যন্ত থেমে থেমে গুলি করতে থাকেন। সকালে তার ঘরের দরজা খোলার সময়ও তিনি এক রাউন্ড গুলি ছোড়েন।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আটক হাবিবুরের বিরুদ্ধে লাইসেন্স করা অস্ত্র অপব্যবহারের অভিযোগে অস্ত্র আইনে একটি এবং ভাতিজাকে গুলি করে আহত করায় আলাদা মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।