থানা ছাড়াও পুলিশ বক্স, চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগার, দামপাড়া পুলিশ লাইনসে হামলা চালানো হয়েছে।
Published : 05 Aug 2024, 09:19 PM
প্রবল গণ আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচটি থানায় ভাংচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঘেরাও করেও রাখা হয়েছে একটি থানা।
থানা ছাড়াও পুলিশ বক্স, চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগার, দামপাড়া পুলিশ লাইনসে হামলা চালানো হয়েছে।
সোমবার প্রথমে নগরীর কোতোয়ালী ও পতেঙ্গা থানায় আগুন দেওয়ার খবর আসে। এরপর সদরঘাট, ডবলমুরিং, পাহাড়তলী থানায় ভাংচুর করা হয়।
কয়েকটি থানার কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা জানান, ক্ষুব্ধ লোকজনকে প্রতিরোধ করার কোনো সুযোগ তাদের ছিল না। তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে সরে পড়েছেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (বন্দর) কাজী হুমায়ন রশিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পতেঙ্গা থানায় অগ্নিসংযোগ হয়েছে। ইপিজেড থানা ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। আমরা খুব ঝামেলায় আছি।”
দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আশরাফুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি ঝামেলায় আছি বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এদিকে বিকাল পাঁচটার দিকে একদল মানুষ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে হামলা চালানো হয়। এসময় কারাগারের ভেতর থেকে ফাঁকাগুলি ছোড়া হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
সন্ধ্যার পরও কারাগারের সামনে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে, এ সময় তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেয়। একট পর্যায়ে কারাগারে হামলার চেষ্টা করে।
এদিকে বিকালের দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা মিছিল করে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনসের সামনে জড়ো হয়। ওই সময় কয়েক হাজার মানুষ পুলিশ লাইনসের গেইট ভাঙার চেষ্টা করে।
এরপর ভেতর থেকে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগ অফিস, এমপি ও মেয়রের বাসায় হামলা
শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে চট্টগ্রামে আনন্দ মিছিল করে গিয়ে নগরীর দারুল ফজল মার্কেটের আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা ভাংচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় একদল মানুষ।
কোতোয়ালী থানার পেছনে পাথরঘাটা এলাকায় রাউজানের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিমের বাসায়ও ভাংচুর হয়েছে।
বহদ্দারহাট এলাকায় সিটি মেয়র এম রেজাউল করিমের বাসভবনে ফের হামলা চালিয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে।
নগরীর বিভিন্ন স্থানের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামনের ভাস্কর্য ভাঙচুর ও তাতে কালি লেপনের ঘটনাও দেখা গেছে।
এদিকে সন্ধ্যার পরও বিভিন্ন সড়কে হাজার হাজার মানুষকে বিজয় উল্লাসে মেতে উঠতে দেখা যায়। পতাকা হাতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে তারা বিজয়োল্লাস করেন। এ সময় রাস্তায় সাংবাদিকদের দেখলেও লোকজন ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দেয়।