জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবির পাশাপাশি বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন বিক্ষোভকারীরা।
Published : 20 Sep 2024, 07:28 PM
খাগড়াছড়িতে স্থানীয় জুম্মদের ওপর হামলার অভিযোগ করে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ করেছেন পাহাড়ি ছাত্রছাত্রীরা।
বন্দর নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ‘বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতা’ লেখা ব্যানারে বিক্ষোভে হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করে।
তারা খাগড়াছড়ির মধুপুর ও দীঘিনালায় সংঘাতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের প্রতিবাদ জানান। জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন। বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড তুলে ধরে স্লোগান দেন।
বিক্ষোভের আয়োজকদের একজন রিপুল চাকমা বলেন, “দীঘিনালায় জুম্ম জনগণের ওপর হামলা, দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। কয়েকজন নিহত হয়েছে। সেসব হামলার প্রতিবাদ আমাদের এ বিক্ষোভ। আমরা অবিলম্বে এসব হামলা নির্যাতন নিপীড়ন বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।”
খাগড়াছড়ি ছাড়াও রাঙামাটিতেও হামলার অভিযোগ করে তিনি বলেন, “সেনা বাহিনী ও সেটেলাররা আমাদের ভাইদের ওপর হামলা করেছে। অবিলম্বে এটি বন্ধ করতে হবে।”
বুধবার সকালে চুরির অভিযোগে ‘গণপিটুনিতে’ মামুন নামে এক যুবক হত্যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকালে বিক্ষোভ মিছিল বের করে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ মিছিলের একপর্যায়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। পরে লারমা স্কয়ারের দোকানপাটে আগুন দেয় একপক্ষ। তাতে ৬০ থেকে ৭০টি দোকান পুড়ে গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের ভাষ্য।
সংঘর্ষে আহতদের খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয় বলে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবিব পলাশ জানান।
এদিকে দীঘিনালার ওই ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতভর জেলা সদরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে পুরো জেলায় আতঙ্ক তৈরি হয়।
নাশকতা রোধে খাগড়াছড়ি পৌর শহর ও জেলা সদরে শুক্রবার বেলা ২টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় বলে জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান।
এদিকে খাগড়াছড়ির সংঘাতের জেরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে আরেক পার্বত্য শহর রাঙামাটিতেও। সেখানে সংঘর্ষে মারা গেছেন একজন, আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।
শুক্রবার সকাল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের পর বেলা দেড়টা থেকে রাঙামাটি পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
আরও পড়ুন-
পাহাড়ে সংযমের আহ্বান সরকারের, যাচ্ছে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল