এদের বেশির ভাগই কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বাসিন্দা।
Published : 15 Apr 2025, 08:46 PM
সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় ২২ মাস আগে মিয়ানমারে আটক ২০ কিশোর দেশে ফেরার পর তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বিএনএস সমুদ্র অভিযান’ এ করে তারা চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়। পরে সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে পরিবারের কাছে তাদের হস্তান্তর করে জেলা প্রশাসন।
এদের বেশির ভাগই কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বাসিন্দা।
উপস্থিত অভিভাবকরা বলেন, কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া ও রামুর বাসিন্দা এই কিশোররা পরিবারকে না জানিয়ে মালয়েশিয়া পাড়ি দিচ্ছিল। মিয়ানমারে আটকের প্রায় এক মাস পর পরিবার জানতে পারে তারা আটক হয়েছেন।
২০২৪ সালে তাদের ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের মাধ্যমে কাগজপত্র জমা দেন পরিবারের সদস্যরা।
এরকম আরো বাংলাদেশি মিয়ানমারের জেলে আটক আছে বলে জানায় ফিরে আসা কিশোররা।
দালাল চক্রের মাধ্যমে ২০২৩ সালের জুনে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টাকালে পথিমধ্যে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হন তারা।
মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এবং তাদের নাগরিকত্ব যাচাইয়ের পর দেশটিতে বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
এর আগে গত রোববার মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরের এমআইটিটি বন্দর থেকে তাদের নিয়ে নৌ বাহিনীর জাহাজ বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা করে। মঙ্গলবার সকালে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়।
প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও আনুষ্ঠানিকতা শেষে নৌবাহিনী তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করে।
পরে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান বলেন, “আপনারা বিদেশে গমনের পূর্বে যেই এজেন্সির মাধ্যমে যাচ্ছেন, অনুগ্রহ করে তাদের বৈধ কাগজপত্র আছে কি না, তারা লিস্টেড এজেন্ট কি না বিদেশে পাঠানোর জন্য সেটা একটু যাচাই বাছাই করে নেবেন।”
তিনি জেলা পর্যায়ে জনশক্তি রপ্তানির অফিস থেকে তা যাচাই করা যায় বলে তুলে ধরেন। বলেন, “যেসব ব্যক্তিদের মাধ্যমে তারা গেছে এরা বেশিরভাগই হচ্ছে অনিবন্ধিত। অনেকটা প্রতারক ও দালাল চক্র।“
যারা প্রতারিত হয়েছেন তাদের নিজ নিজ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করা কিংবা মামলা করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ”সরকারি যে সহযোগিতা লাগে তা আমরা স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে করা হবে।”
আরও কত বাংলাদেশি মিয়ানমারে আটক আছে জানতে চাইলে কামরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।”
মঙ্গলবার ফিরে আসারা হলেন- টেকনাফের জুবায়েদ হোসেন জুয়েল (১৭), সরোয়ার কামাল (১৭), নূর মোহাম্মদ (১৭), মো. ফাহিম (১৫), আবদুল্লাহ (১৭), মোবারক (১৪) ও রবিউল আলম (১৭), রামুর তারেক মনোয়ার (১৬), নাজিম উদ্দিন (১৭), নজরুল ইসলাম (১৭), মো. খোকন (১৭), মনসুর আলম (১৬), রফিকুল ইসলাম (১৯), আজিজুর রহমান (১৭) ও রফিকুল ইসলাম (১৫), উখিয়ার মো. হাসেম (১৭), মো. ফয়সাল (১৭) ও মো. আসাদ (১৩), মহেশখালী মোহাম্মদ হেলাল (১৬) এবং নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার মো. সাজ্জাদ (১৭)।