তিনি রাতে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে শহরে নিজ বাসায় ফেরার সময় ওই বাসে উঠেছিলেন।
Published : 12 Sep 2024, 01:34 AM
চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে এক তরুণী ’ধর্ষণের ঘটনায় চালক ও সহকারী গ্রেপ্তার হয়েছে; পুলিশ বলছে, যারা আদালতে ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার বাস চালক আজাদ খান ও তার সহকারী সাহেদুল ইসলামকে আগের দিন রাতে গ্রেপ্তারের পর বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে হাজির কর হয়। পরে তারা জবানবন্দি দেন।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার পর। সেদিন চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতুর টোলপ্লাজার কাছে চলন্ত বাসে ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণী ধর্ষণের শিকার হন।
তিনি পটিয়ার মনসার টেক এলাকা থেকে শহরে আসার জন্য বাসে উঠেছিলেন। তিনি আত্মীয়ের বাড়ি থেকে শহরে নিজ বাসায় ফেরার সময় ওই বাসে উঠেছিলেন।
মামলার এজাহারের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, যে বাসে উঠেছিলেন তার চালক ও সহকারী তাকে বিভিন্ন রুটে ঘোরানোর পর শাহ আমানত সেতুর টোল প্লাজার কাছে বাসের পেছনের সিটে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা শাকিলা বলেন, রাত ১১টার দিকে ধর্ষণের পর ওই নারীকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পটিয়ার শান্তিরহাটে নামিয়ে দেওয়া হয়। ওই নারীর স্বামী বাদি হয়ে ঘটনার তিন দিন পর মঙ্গলবার কর্ণফুলী থানায় মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনায় চালক আজাদ ও সহকারী সাহেদুলকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
এডিসি শাকিলা বলেন, দুইজনই বুধবার আদালতে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের পরবর্তীতে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।