“সন্ধ্যার কিছু আগে ৪০ থেকে ৫০ জন যুবক এসে ডিসি হিলে আমাদের অনুষ্ঠান মঞ্চে হামলা করে।”
Published : 13 Apr 2025, 08:15 PM
বর্ষবরণের প্রস্তুতির মধ্যেই চট্টগ্রামের ডিসি হিলে ‘সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ’ এর অনুষ্ঠান মঞ্চ ভাঙচুর করা হয়েছে।
আয়োজকরা বলছেন, রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে নগরীর বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্ন ডিসি হিলে অনুষ্ঠান মঞ্চ ভাঙচুর করে একদল লোক।
পরিষদের সমন্বয়কারী সুচরিত দাশ খোকন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সন্ধ্যার কিছু আগে ৪০ থেকে ৫০ জন যুবক এসে ডিসি হিলে আমাদের অনুষ্ঠান মঞ্চে হামলা করে।”
তিনি বলেন, “সোমবার সকাল থেকেই আমাদের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরুর কথা। সে অনুযায়ী মঞ্চ থেকে আনুষঙ্গিক সকল প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করে ফেলেছিলাম। এর মধ্যে দুর্বৃত্তরা এসে মঞ্চে হামলা করল।”
চট্টগ্রাম কোতয়ালি থানার ওসি মো. আবদুল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগে থেকেই অনুষ্ঠানস্থলে আমাদের ফোর্স ছিল। সন্ধ্যার দিকে কিছু দুর্বৃত্ত হামলার চেষ্টা করলেও আমরা প্রতিহত করেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।”
ওসি ভাঙচুর প্রতিহত করার কথা বললেও ঘটনাস্থলের ছবিতে দেখা যায় চেয়ার ও মঞ্চের কাঠামো ভেঙে পড়ে আছে, প্যান্ডেলের কাপড় ও প্যানাফ্ল্যাক্সের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।
সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রামের ডিসি হিলে গত ৪৬ বছর ধরে বাংলা নববর্ষ বরণ ও বর্ষ বিদায় উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান করে আসছে।
এবার ৪৭ বারের মত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের জন্য গত ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়ে তারা আবেদন করে।
কিন্তু আয়োজকদের সঙ্গে প্রশাসনের সভায় নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে অনুষ্ঠানের অনুমতি ঝুলিয়ে রাখা হয়। এতে আয়োজকরা অনুষ্ঠান করা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ে যান।
পরে ১০ এপ্রিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে ডিসি হিলে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হয়।
তবে শর্ত দেওয়া হয়, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সংগঠনগুলোর গানের তালিকা প্রশাসনকে আগেই দেখাতে হবে।
পহেলা বৈশাখের এ অনুষ্ঠান দেখভাল করার জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি তদারকি কমিটিও করে দেওয়া হয়।
আয়োজকরা সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান করার অনুমতি চাইলেও তাদের বিকাল ৪টার মধ্যে শেষ করতে বলা হয়। পাশাপাশি ‘বিতর্ক হতে পারে’–এমন কোনো গান বা কবিতা না রাখার অনুরোধ করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এবারে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ৬০টির মত সাংস্কৃতিক সংগঠনের অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।