Published : 06 May 2025, 08:58 PM
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা ঢাকা মহানগরের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ রইস উদ্দিন হত্যার বিচার এবং আন্দোলনে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশে করেছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে এসব কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে তারা আন্দোলন করলেও তাদের গ্রেপ্তার না করে উল্টো সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে আসামি করা হচ্ছে। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা কেউ মসজিদের ইমাম, কেউ খতিব, আবার কেউ শিক্ষার্থী।
ইসলামী ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাহেদুল ইসলাম বলেন, সোমবার শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিতে হেলমেট বাহিনী আক্রমণ করেছে। উল্টো ভিত্তিহীন এজাহার দিয়ে নেতাকর্মীদের জেলে আটকে রাখা হয়েছে।
সংগঠনের সাবেক সভাপতি শহীদুল ইসলাম বলেন, ৫ অগাস্টের পর আমাদের আশা ছিল বিচারের দাবিতে আমাদের কাউকে আর রাজপথে নামতে হবে না। কিন্তু ২৭ এপ্রিল রইস উদ্দিনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে আমরা যারা আন্দোলনে নেমেছি, তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি না দিলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সমাবেশে ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি মো. ওসমান বলেন, “আমরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে রাস্তায় নামিনি। বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছি।”
গত ২৭ এপ্রিল গাজীপুরের হায়দারাবাদ এলাকায় একটি মসজিদের ইমাম ও খতিব রইস উদ্দিনের বিরুদ্ধে ‘শিশু বলাৎকারের’ অভিযোগ তুলে গাছে বেঁধে মারধর করে একদল মানুষ। পরে তাকে পুলিশের সোপর্দ করে। পরের দিন ভোরে কারাগারে তার মৃত্যু হয়।
রইসের মৃত্যুকে ‘পরিকল্পিত’ হত্যাকাণ্ড দাবি করে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ দেখিয়ে আসছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত।
সোমবার দেশব্যাপী তিন ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত ও ইসলামী ছাত্রসেনা।
সকাল থেকে নগরীর বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ষোলশহর, জিইসি, সল্টগোলা ক্রসিং, হাটহাজারী, বাঁশখালী, চন্দনাইশ, নাজিরহাট সড়কের বিভিন্ন অংশে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মুরাদপুর রেলগেইট এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সেখানে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেল লাইনে আগুন জ্বালিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। পুলিশ তখন তাদের ধাওয়া করে। এসময় ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে, তখন পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।
বিকালে সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে ৩৩ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানায়।