বিশ্বকাপ বিপর্যয়ের পর নতুন করে ভাবতে চান উইন্ডিজ কোচ

ব্যাটসম্যানরা নিজেদের কাজ ঠিকঠাক না করতে পারায় ভরাডুবি হয়েছে বলে মনে করেন ফিল সিমন্স।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল নিয়ে এবার আশাবাদী লোক খুব বেশি ছিল না। তবে তারা যে প্রাথমিক পর্বেই আটকে যাবে, এমনটাও হয়তো ভাবনায় ছিল না। যদিও বাস্তবতা সেটাই, সুপার টুয়েলভে যেতে ব্যর্থ হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সে ভীষণ হতাশ দলটির কোচ ফিল সিমন্স।

তার মতে, এই সংস্করণে আবার নিজেদের শীর্ষ পর্যায়ে তুলতে হলে নতুন করে গুছিয়ে নিতে হবে তাদের।

‘বি’ গ্রুপে শুক্রবার টিকে থাকার লড়াইয়ে পাত্তাই পায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৪৭ রানের লক্ষ্য ১৫ বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখেই স্পর্শ করে আয়ারল্যান্ড।

টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবিয়ানদের মলিনতার শুরু গত আসর দিয়ে। সেবার দলে ছিলেন বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলে বেড়ানো মহাতারকা ক্রিস গেইল, ডোয়াইন ব্রাভো, কাইরন পোলার্ড, আন্দ্রে রাসেলরা। এরপরও দলটি সুপার টুয়েলভে জিততে পারে কেবল একটি ম্যাচ, বাংলাদেশের বিপক্ষে।

এবার নিকোলাস পুরানের নেতৃত্বাধীন দলটির বিশ্বকাপ অভিযান থমকে গেল তিন ম্যাচেই।

আয়ারল্যান্ড ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স বললেন, নতুন করে শুরু করতে হবে তাদের।

“(টি-টোয়েন্টিতে ব্যর্থতার ইতি টানার উপায়) আমার জানা নেই। এখন আমাদের ফিরে যেতে হবে এবং আমাদের কাঠামো ও আমরা কীভাবে ক্রিকেট খেলি, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে, এরপর আমরা যখন কোনো প্রতিযোগিতায় নামব এবং দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে খেলব তখন যেন ম্যাচের সব পরিস্থিতির জন্য যা প্রয়োজন তা করার সক্ষমতা যেন থাকে।”

গ্রুপে নিজেদের কোনো ম্যাচেই ১৬০ রান করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টুর্নামেন্ট নিদারুণ ব্যর্থতার জন্য ব্যাটসম্যানদের কাঠগড়ায় তুললেন কোচ।

“আমি মনে করি, (সুপার টুয়েলভে) যাওয়ার জন্য আমরা যথেষ্ট ভালো ক্রিকেট খেলতে পারিনি। আমাদের ব্যাটসম্যান আছে, সামর্থ্যও আছে, তবে আমরা এর মেলবন্ধন ঘটাতে পারিনি। আমাদের বোলাররা দশের মধ্যে ৯ বারই ভালো করে, কিন্তু ব্যাটসম্যানরা তাদের কাজটা করতে পারেনি। আমি মনে করি, তাদের সবাই হতাশ। আর এটা শুধু বিশ্বকাপেই নয়, বিশ্বকাপের ঠিক আগে এবং সবকিছু মিলিয়েই।”

“আমাদের ফিরে যেতে হবে এবং ব্যাটসম্যানদের নিজেদের দিকে তাকাতে হবে। লড়াই করার জন্য আমরা কীভাবে ১৭০-১৮০ রান করতে পারি সেটা ভাবতে হবে, কারণ বোলাররা তাদের কাজটা ঠিকই করছে।”