গত দুটি বিশ্বকাপের ফাইনালে হেরে যাওয়া নিউ জিল্যান্ডের অভিজ্ঞ পেসারের এখন একমাত্র লক্ষ্য বিশ্বকাপ জয় করা।
Published : 10 Aug 2023, 04:42 PM
নিউ জিল্যান্ডের হয়ে গত দুই ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছেন ট্রেন্ট বোল্ট। কিন্তু দুবারই তার সঙ্গী হয়েছে হতাশা। এবার আর সেই আক্ষেপে পুড়তে চান না তিনি। ভারতে অনুষ্ঠেয় বৈশ্বিক আসরের ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে আশাবাদী অভিজ্ঞ এই পেসার।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে নিউ জিল্যান্ডের ফাইনালে খেলার পথে বড় ভূমিকা রাখেন বোল্ট। মিচেল স্টার্কের সঙ্গে আসরে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ২২ শিকার ধরেন তিনি। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে দল হারলেও বল হাতে নিজের কাজ ঠিকঠাকই করেন বোল্ট।
মেলবোর্নের ফাইনালে ব্যাটিং ব্যর্থতায় স্রেফ ১৮৩ রান করে কিউইরা। সেই রান অস্ট্রেলিয়া তাড়া করে ফেলে ৭ উইকেট হাতে রেখে। অল্প পুঁজি নিয়েও লড়াই করেন বোল্ট। ১০ ওভারে ৪০ রান খরচায় নেন ১ উইকেট।
২০১৯ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে অবশ্য নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি বোল্ট। ১০ ম্যাচে নেন ১৭ উইকেট। রোমাঞ্চ-উত্তেজনায় ঠাসা ফাইনালে পাননি উইকেটের দেখা।
লর্ডসে গত বিশ্বকাপের ফাইনালে মূল ম্যাচ টাই হওয়ার পর সুপার ওভারও টাই হলে বাউন্ডারির হিসেবে পিছিয়ে পড়ে স্বপ্ন ভাঙে নিউ জিল্যান্ডের, চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।
নিউ জিল্যান্ড দলের বোলিং বিভাগের বড় অস্ত্র বোল্ট গত বছরের অগাস্টে হুট করে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর থেকে লম্বা সময় ধরে দলের বাইরে তিনি। ২০২৩ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তাকে আবার দলে ফিরিয়েছে কিউইরা। তাকে রেখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চার ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য দল সাজিয়েছে তারা।
গত সেপ্টেম্বরের পর আবারও ওয়ানডে খেলার সুযোগ এখন বোল্টের সামনে। দলে ফিরে ৩৪ বছর বয়সী বাঁহাতি এই পেসার বললেন, সব সময়ের মতোই দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে মুখিয়ে আছেন তিনি। সঙ্গে জানালেন, বিশ্বকাপ নিয়ে তার চাওয়ার কথা।
“দলে ফেরা এবং ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য কাজ করার বিষয়টি আমার মাথায় সব সময়ই ছিল। সেখানে (বিশ্বকাপে) ইতিহাস জড়িয়ে আছে। গত আসরে আমাদের যাত্রা খুবই রোমাঞ্চকর ছিল। তাই এবার খেলার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি এবং আশা করি, বড় ভূমিকা রাখতে পারব।”
“আমি স্রেফ ভাবছি, চকচকে ট্রফিটি উঁচিয়ে ধরার কথা, ৪ বছর আগে যেটার খুব কাছে ছিলাম আমরা। এটাই সবচেয়ে বড় লক্ষ্য।”
আহমেদাবাদে আগামী ৫ অক্টোবর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে নিউ জিল্যান্ডের বিশ্বকাপ অভিযান।