পাকিস্তানের নেতৃত্ব ছাড়লেন বাবর

বিশ্বকাপে দলের বাজে পারফরম্যান্সের পর তিন সংস্করণের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন বাবর আজম।

বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে পাকিস্তানের বিদায়ের পর ক্রমেই চাপ বাড়ছিল অধিনায়ক বাবর আজমের ওপর। তার অধিনায়কত্ব নিয়ে চলছিল প্রবল সমালোচনা। এবার তিন সংস্করণের নেতৃত্ব থেকেই সরে দাঁড়ালেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বিবৃতিতে বুধবার এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে বাবর লেখেন, তিন সংস্করণে খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি।

“আজ আমি সব সংস্করণে পাকিস্তানের অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। এটি কঠিন সিদ্ধান্ত, কিন্তু আমি মনে করি এই সিদ্ধান্তের জন্য সঠিক সময় এটিই। আমি তিন সংস্করণে খেলোয়াড় হিসেবে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করে যাব। আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে এবং নিষ্ঠার সঙ্গে নতুন অধিনায়ক ও দলকে সমর্থন করে যাব। আমাকে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই।”

ভারতে চলমান বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচের কেবল ৪টি জিতে পাঁচে থেকে বিদায় নেয় পাকিস্তান। দলের পাশাপাশি বাবরের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সও তেমন ভালো ছিল না। ৪০ গড়ে চার ফিফটিতে তিনি করতে পারেন কেবল ৩২০ রান, তার মানের ব্যাটসম্যানের সঙ্গে যা বেমানান। বিশ্বকাপের মাঝেই ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান হারান তিনি। আগ্রাসী মনোভাবের অভাবের কারণে সমালোচিত হয় তার নেতৃত্ব।

২০১৯ সালে সরফরাজ আহমেদের জায়গায় পাকিস্তানের সাদা বলের অধিনায়কের দায়িত্ব পান বাবর। ২০২১ সালে দেওয়া হয় টেস্টের নেতৃত্ব। তার অধিনায়কত্বে পাকিস্তান গত বছর এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলে। গত অগাস্টে তারা উঠে যায় ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে।

নেতৃত্বের বিদায়বেলায় ২৯ বছর বয়সী বাবর ফিরে তাকালেন চার বছর পেছনে।

"আমার স্পষ্ট মনে আছে, ২০১৯ সালে যখন পিসিবি থেকে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ফোন কল পেয়েছিলাম। এই চার বছরে আমি মাঠ ও মাঠের বাইরে নানা উত্থান-পতনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। তবে সবসময়ই ক্রিকেট বিশ্বে পাকিস্তানের গৌরব ও সম্মান বজায় রাখার দিকে লক্ষ্য রেখেছি।”

বাবরের অধিনায়কত্বে সব মিলিয়ে ২০ টেস্টে পাকিস্তানের জয় ১০টি, ৪৩ ওয়ানডেতে জয় ২৬টি এবং ৭১ টি-টোয়েন্টিতে জয় ৪২টি।

বাবরের জায়গায় নতুন অধিনায়ক কে হবেন, সে ব্যাপারে পিসিবি এখনও কিছু জানায়নি। পাকিস্তানের পরবর্তী সিরিজ ডিসেম্বরে, অস্ট্রেলিয়া সফরে তারা খেলবে তিনটি টেস্ট। এরপর জানুয়ারিতে তারা পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলতে যাবে নিউ জিল্যান্ডে।

ব্যাটসম্যান শান মাসুদ টেস্টের নেতৃত্ব পেতে পারেন বলে গুঞ্জন আছে। সাদা বলে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন ফাস্ট বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদি।