টম ল্যাথাম, গ্লেন ফিলিপসের ১৪৪ রানের জুটিতে ২৮৮ রান করল গত আসরের রানার্স-আপরা।
Published : 18 Oct 2023, 07:02 PM
বল হাতে নিয়েই আজমতউল্লাহ ওমারজাইয়ের জোড়া আঘাত। পরের ওভারে উইকেট শিকারে যোগ দিলেন রাশিদ খানও। নয় বলে এক রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে নিউ জিল্যান্ড। কঠিন সময়ে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিলেন টম ল্যাথাম ও গ্লেন ফিলিপস। তাদের বড় জুটিতে খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে বড় পুঁজিই পেল কিউইরা।
স্রেফ ১১০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর পঞ্চম উইকেটে ১৪৪ রান যোগ করেছেন ল্যাথাম ও ফিলিপস। দুজনই খেলেছেন পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। এর সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে উইল ইয়াংয়ের ফিফটির সৌজন্যে চেন্নাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ড করেছে ৮ উইকেটে ২৮৮ রান।
বিশ্বকাপ তো বটে, ওয়ানডেতেই এত বেশি রান তাড়ার রেকর্ড নেই আফগানিস্তানের। ২০১৪ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২৭৪ রান তাড়া করে জিতেছিল তারা। আর বিশ্বকাপে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২৮৭ তাড়া করে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া, ১৯৯৯ সালে। ফলে ম্যাচ জিততে নতুন কীর্তিই গড়তে হবে আফগানিস্তানকে।
নিউ জিল্যান্ডের ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে বড় অবদান অবশ্য আফগানিস্তানের এলোমেলো ফিল্ডিংয়েরও। দ্বিতীয় ওভারে ইয়াংয়ের ক্যাচ ছাড়া দিয়ে শুরু। এরপর আরও অন্তত ৫টি সুযোগ হাতছাড়া করে তারা। যার পূর্ণ ফায়দা নেন ইয়াং, ল্যাথাম, ফিলিপসরা।
অথচ টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে একপর্যায়ে কিউইদের চেপে ধরেছিল আফগানরা। উইল ইয়াংয়ের ৬৪ বলে ৫৪ রানের ইনিংসের পরও পরপর ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়ে যায় বিশ্বকাপের গত দুই আসরের রানার্সআপরা।
শুরুতে দেখে-শুনে এই চাপ সামাল দেন ল্যাথাম, ফিলিপস। রাশিদ, ওমারজাই, মোহাম্মদ নাবিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কোনো ঝুঁকি না নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে নেন দলের ইনিংস। উনিশ ওভারের প্রথম বলের পর টানা ৬৪ বল কোনো বাউন্ডারি মারেতে পারেনি নিউ জিল্যান্ড।
উইকেটে থিতু হওয়ার পর ধীরে ধীরে হাত খোলেন দুই ব্যাটসম্যান। ফিলিপস ৬৯ ও ল্যাথাম ফিফটি করেন ৬৭ বলে। এরপর স্রেফ ৭ বলে ১৮ রান নেন ল্যাথাম। ফিলিপসের ব্যাট থেকে আসে ১১ বলে ২১ রান।
৪টি করে চার-ছক্কায় বিশ্বকাপে নিজের প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসে ফিলিপস করেন ৮০ বলে ৭১ রান। কিউই অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৭৪ বলে ৬৮ রান। তাদের জুটির সংগ্রহ ১৫৩ বলে ১৪৪ রান।
দলকে আড়াইশ পেরিয়ে নাভিন উল হাকের একই ওভারে আউট হন দুজন। বিশ্বকাপে ৪ উইকেট হারানোর পর নিউ জিল্যান্ডের এর চেয়ে বড় জুটি রয়েছে আর একটি। ১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্রিস কেয়ার্নস ও রজার টুজের ১৪৮ রান।
শেষ দিকে মার্ক চ্যাপম্যান ও মিচেল স্যান্টনারের ১৬ বলে ৩৩ রানের জুটিতে তিনশর কাছে যায় নিউ জিল্যান্ড। ১২ বলে ২৫ রানের ক্যামিও খেলেন চ্যাপম্যান।
আফগানিস্তানের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন ওমারজাই, নাভিন।