আফগানিস্তানের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক বোলিংয়ের পর স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথের বাহবা পেলেন সাকিব আল হাসান।
Published : 09 Oct 2023, 07:16 PM
প্রথম আট ওভারে নেই কোনো সাফল্য। বিপজ্জনক হওয়ার বার্তা রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাটে। নবম ওভারে ইব্রাহিমকে ফিরিয়ে শুরুর জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। পরে উইকেট নেন আরও দুটি। পাশাপাশি অন্যদের বোলিংয়ে ফিল্ডিং সাজানোতেওদেখানমুনশিয়ানা। সব মিলিয়ে প্রথম ম্যাচের সাকিবকে পূর্ণ নম্বর দিলেন স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ।
ধারামশালায় মঙ্গলবার বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। একই মাঠে গত শনিবার আফগানিস্তাকে অনায়াসে ৬ উইকেটে হারায় সাকিবের দল। আফগানদের স্রেফ ১৫৬ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পথে বল হাতে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেন সাকিব।
শুরুতে পেসারদের ব্যর্থতা কিংবা দ্রুত উইকেটের চরিত্র বুঝতে পেরে পাওয়ার প্লেতেই বোলিংয়ে আসেন সাকিব। দ্বিতীয় ওভারেই পান সাফল্য। পরে দ্বিতীয় উইকেট জুটি জমে যাওয়ার পরও ত্রাতা বাংলাদেশ অধিনায়কই। এবার তিনি ফেরান আফগানদের নির্ভরযোগ্য রেহমাত শাহকে।
শুধু নিজের বোলিং নয়, প্রথম ওভারে খরুচে বোলিং করা মেহেদী হাসান মিরাজকেও উইকেট সম্পর্কে সাকিব দেন মূল্যবান বার্তা। যা কাজে লাগিয়ে পরের ৮ ওভারে ৩ মেডেনসহ স্রেফ ১৬ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন মিরাজ। সাকিবের ৩ উইকেটের জন্য খরচ ৩০ রান।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনেওআসে প্রথম ম্যাচের স্পিন পারফরম্যান্সের প্রসঙ্গ। আক্রমণাত্মক বোলিংয়ের পসরা সাজানো সাকিবকে পুরো নম্বর দেন হেরাথ।
“সত্যি বললে, দশে দশ। তারা (স্পিনাররা) পিচটা খুব ভালোভাবে পড়েছে। এরপর তারা বিশ্লেষণ করেছে কোন লাইন ও লেংথে তাদের বোলিং করতে হবে। এছাড়া তারা খুব আক্রমণাত্মক ফিল্ডিংও সাজিয়েছিল। তারা যেভাবে বোলিং করেছে আমি শতভাগ খুশি।”
“নিজেদের স্কিলের বাইরেও তারা পিচ খুব ভালোভাবে পড়েছে। এরপর ওই পরিস্থিতি অনুযায়ী তারা বোলিং করেছে। এই বিষয়ে আমি নিশ্চিত যে, এই দুজন স্পিনার যখন বোলিং করবে, তারা কন্ডিশন বুঝে পিচের আচরণ অনুযায়ী বোলিং করবে।”
উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরুর পর ইব্রাহিমকে আউট করার পেছনে ফিল্ডিং সাজানোর ছিল বড় ভূমিকা। শর্ট কাভারে ফিল্ডার রেখে, বুদ্ধিদীপ্ত ফিল্ডিং সাজিয়ে এবং সেভাবেই বোলিং করে ব্যাটসম্যাকে ভুল করতে প্রলুব্ধ করেন সাকিব।
এছাড়া ইনিংসের বাকি সময়েও প্রায় নিয়মিত স্লিপে একজন ফিল্ডার রাখাসহ আঁটসাঁট ফিল্ডিং সাজিয়ে বোলিং করে বাংলাদেশ। সামনের দিনগুলোতে এটিই বাংলাদেশের ব্র্যান্ডের ক্রিকেটের বিজ্ঞাপন হতে পারে বলে মনে করেন হেরাথ।
“(আক্রমণাত্মক ফিল্ড সাজানো বাংলাদেশি ব্র্যান্ড অব ক্রিকেটের অংশ কি না) অবশ্যই! যখন পরিকল্পনার প্রসঙ্গ আসে, তখন নিজের স্কিল ও শক্তির ওপর নির্ভর করে সেরাটা খেলতে হবে। তো এক্ষেত্রে সেটি বৃত্তের ভেতরে একজন বাড়তি ফিল্ডার রাখা, ফিল্ডিং সাজানোয় ভিন্নতা রাখা। আমরা এসব জিনিসই ভাবছি আসলে।”