সাকিব আল হাসানের বদলে নিয়মিত অধিনায়কের দায়িত্ব পেতে নাজমুল হোসেন শান্তকে জোর দাবিদার বলেই মনে করেন বাংলাদেশ কোচ।
Published : 05 Dec 2023, 11:19 AM
নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বের পরীক্ষা চলছে। মিরপুর টেস্টেও তা পরখ করা যাবে। এরপর নিউ জিল্যান্ড সফর তো আছেই। তবে চান্দিকা হাথুরুসিংহের কাছে এখনই বিপুল পরিমাণে নম্বর পেয়ে পাস করে গেছেন শান্ত। অধিনায়ক ও নেতা হিসেবে এর মধ্যেই কোচের মনে দাগ কাটতে পেরেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। সামনে তাকিয়ে নিয়মিত অধিনায়কের দায়িত্বে শান্ত জোর দাবিদার হবে বলেও বিশ্বাস কোচের।
শান্তর নেতৃত্বের পথচলা শুরু বিশ্বকাপের ঠিক আগে দেশের মাঠে নিউ জিল্যান্ড সিরিজের একটি ম্যাচ দিয়ে। পরে বিশ্বকাপেও সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে দুটি ম্যাচে তিনি নেতৃত্ব দেন। ওই তিন ম্যাচের কোনোটিতে বাংলাদেশ জিততে পারেনি। শান্তর নেতৃত্বের ছাপও তখন খুব বেশি চোখে পড়েনি আলাদা করে।
তবে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে সিলেট টেস্টে তিনি যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেটির প্রশংসা হচ্ছে চারপাশে। বাংলাদেশ ম্যাচটি বড় ব্যবধানে জিতেছে বলেই শুধু নয়, টেস্ট চলার সময় তার ফিল্ডিং সাজানো, বোলিং পরিবর্তন থেকে শুরু করে নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সর্বোপরি কতৃত্ব, সব কিছু দিয়েই তিনি নজর কাড়েন।
দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ এক সেঞ্চুরিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন, অধিনায়কত্বের চাপ তাকে কাবু করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জয়টা তো তার অধিনায়কত্বের বিজ্ঞাপন হয়েই গেছে।
দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে কোচ হাথুরুসিংহে আলাদা করে তুলে ধরলেন শান্তর অধিনায়কত্ব ও নেতৃত্বের দুটি দিকই।
“অধিনায়কত্ব ও নেতৃত্ব আলাদা দুটি ব্যাপার। তার অধিনায়কত্ব ছিল অসাধারণ। ট্যাকটিক্যালি সে ছিল দারুণ। বেশির ভাগ সময়ই নিজেকে এক ধাপ এগিয়ে রাখতে পেরেছিল সে। ফিল্ডিং সাজানোও ছিল খুব ভালো। কখনও কখনও অপ্রথাগত ছিল, তবে খুবই কার্যকর।”
“তার নেতৃত্বও ছিল দুর্দান্ত। পারফরম্যান্স দিয়ে সে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। শ্রদ্ধা আদায় করে নিতে পেরেছে সে এবং সেই মানও দাবি করতে পেরেছে। আমার মনে হয়, তার অপেক্ষায় লম্বা ভবিষ্যৎ।”
দেশের ক্রিকেটের এখন যে বাস্তবতা, তাতে নিয়মিত অধিনায়কের দায়িত্বে পরিবর্তন আসাটা অবশ্যম্ভাবী। এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তিন সংস্করণেই অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে বিশ্বকাপে যাওয়ার আগেই টি স্পোর্টসে সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বিশ্বকাপের পর আর ওয়ানডের নেতৃত্বে তিনি থাকবেন না। তার ক্যারিয়ার ও জীবন এখন যে অবস্থায় আছে, সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যস্ততাও বাড়ছে, তাতে হয়তো টেস্ট ক্রিকেটেও তাকে আর দেখা যাবে না। কিংবা অবসর না নিলেও খেলবেন বেছে বেছে। টেস্ট ও ওয়ানডেতে তাই নতুন কোনো নিয়মিত অধিনায়ক ঘোষণা হওয়াটা এখন স্রেফ সময়ের ব্যাপার।
হাথুরুসিংহেও বললেন আপাতত সেই সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে।
“তাকে (শান্তকে) অধিনায়ক করা বা না করার সিদ্ধান্ত তো বোর্ডের। উপযুক্ত সময় এলে নিশ্চয়ই তারা সিদ্ধান্ত নেবে।”
সেই সময়টা যখন আসবে, শান্ত কি জোরাল দাবিদার থাকবেন? এই প্রশ্নে কোচের ছোট্ট উত্তর, “অবশ্যই।”