তামিল নাড়ুতে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হেরেছে বিসিবি একাদশ।
Published : 08 Nov 2022, 08:01 PM
রান পেলেন তৌহিদ হৃদয় আর জাকের আলি। বাকিরা থাকলেন নিজেদের ছায়া হয়ে। তাতে ভারতে আরেকটি ম্যাচে হারল বিসিবি একাদশ। শাহরুখ খানের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নিল তামিল নাড়ু একাদশ।
চার দিনের দুটি ম্যাচে স্বাগতিকরা খেলিয়েছিল এক ঝাঁক আনকোরা খেলোয়াড়। সে তুলনায় একদিনের ম্যাচের সিরিজের দলটি বেশ শক্তিশালী। অন্য দিকে, ভিসা জটিলতায় বিসিবি একাদশ পাচ্ছে না এই সংস্করণের দলে থাকা বেশ কয়েক জনকে।
এই দুইয়ের প্রভাব দেখা যাচ্ছে মাঠেও। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে মঙ্গলবার ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ৫৮ রানে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে তামিল নাড়ু।
বৃষ্টির জন্য কয়েক দফা কমে ম্যাচের দৈর্ঘ্য। আগে ব্যাট করে ৪৭ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান করে তামিল নাড়ু। বিসিবি একাদশ পায় ৩১০ রানের লক্ষ্য। ৪০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তারা ১৯৪ রান করতে আবার বৃষ্টির নামলে আর খেলা সম্ভব হয়নি।
সে সময় ডাকওয়ার্থ-লুইস স্টার্ন পদ্ধতিতে বিসিবি একাদশের প্রয়োজন ছিল ২৫২ রান। সফরকারীদের রান ছিল না এর ধারে কাছে।
আইপিএলের পরিচিত মুখ শাহরুখ বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে করেন সেঞ্চুরি। ৭ চার ও ৪ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৬৯ বলে ঠিক ১০০ রানে। এছাড়া সূর্যপ্রকাশ ৪২ ও সাঁই সুদর্শন ৪০ রান করেন।
বিসিবি একাদশের পক্ষে বল হাতে কেউই তেমন কার্যকর কিছু করতে পারেননি। আকস্মিক শারীরিক অসুস্থতার কারণে নিজের কোটার পুরো ওভার বোলিং করতে পারেননি রেজাউর রহমান রাজা। তবে তার গুরুতর কিছু হয়নি বলে জানা গেছে।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটা ধরেন তরুণ ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিফটির পর আর বড় ইনিংস খেলতে পারেননি ২১ বছর বয়সী ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
রান রেটের কথা মাথায় রেখে ইতিবাচক ব্যাটিং করছিলেন এনামুল হক ও সাইফ হাসান। দুজনের কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। সাইফ ২ চার ও ৩ ছয়ে ৩০ রান করে আউট হন। এনামুল ফেরেন ২ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রান করে।
মুমিনুল হক ও মোহাম্মদ মিঠুন ব্যর্থ হলে স্রেফ ৬৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে বিসিবি একাদশ। ষষ্ঠ উইকেটে ৪১ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দেন হৃদয় ও তাইজুল ইসলাম। দলীয় ১০৮ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরে যান ১৬ রান করা তাইজুল।
এরপর ১৫.৫ ওভারে ৮৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন হৃদয় ও জাকের। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৭৩ রানে অপরাজিত ছিলেন হৃদয়। তার ৭৫ বলে ইনিংসে ৬ চারের সঙ্গে ছিল ১টি ছয়ের মার। জাকেরের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
তামিল নাড়ু একাদশ: ৪৭ ওভারে ৩০৬/৭ (সূর্যপ্রকাশ ৪২, জাগদেসান ১৮, সুদর্শন ৪০, ইন্দ্রজিত ২০, চতুর্ভেদ ২৬, শাহরুখ ১০০*, সঞ্জয় ৩৯, সনু ১০, কৌশিক ০*; খালেদ ৯-০-৪৯-১, তাইজুল ১০-০-৫৫-০, রেজাউর ৩.৩-০-২১-০, নাইম ৩-০-২২-০, এনামুল হক ৫.৩-০-৪৬-০, সাইফ ১০-০-৬৫-১, মুমিনুল ৫-০-৩৮-০, এনামুল বিজয় ১-০-৫-১)
বিসিবি একাদশ: (লক্ষ্য ৪০ ওভারে ২৫২) ৪০ ওভারে ওভারে ১৯৪/৬ (এনামুল ২৪, জয় ০, সাইফ ৩০, মুমিনুল ৬, মিঠুন ১, তৌহিদ ৭৩*, তাইজুল ১৬, জাকের ৩৬*, সিলামবারাসান ৭-০-৩৪-২, সনু ৬-০-৩৯-১, সিদ্ধার্থ ১০-১-৩৮-১, সঞ্জয় ৫-০-২৩-১, শাহরুখ ৩-০-১৫-০, কৌশিক ৩-০-৮-০, সুদর্শন ৩-০-১৩-০, চতুর্ভেদ ৩-০-২৪-০)
ফল: ডাকওয়ার্থ-স্টার্ন-লুইস পদ্ধতিতে তামিল নাড়ু ৫৮ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শাহরুখ খান