জস বাটলারের ম্যাচ জয়ী ইনিংসে বিফলে গেল ভিরাট কোহলির সেঞ্চুরি।
Published : 07 Apr 2024, 12:04 AM
দুই দলের স্কোর তখন সমান। সেঞ্চুরি করতে জস বাটলারের তখনও চাই ৬ রান। শেষ ওভারের প্রথম ডেলিভারি শর্ট বল করলেন ক্যামেরন গ্রিন। ঠিক যেন এমন বলই চেয়েছিলেন ইংলিশ বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। পুল করে স্কয়ার লেগ দিয়ে উড়িয়ে বাউন্ডারিতে ফেললেন তিনি। দলকে জেতানোর পাশাপাশি আইপিএলে নিজের শততম ম্যাচে পেলেন তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে শনিবার রান তাড়ায় ইনিংস শুরু করতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে অপরাজিত থাকেন বাটলার। ৪ ছক্কা ও ৯টি চারে ৫৮ বলে ঠিক ১০০ রান করেন রাজস্থান রয়্যালসের ওপেনার।
আইপিএলে শততম ম্যাচে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান বাটলার। ২০২২ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে নিজের একশতম ম্যাচে অপরাজিত ১০৩ রান করেছিলেন লাক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের লোকেশ রাহুল।
বাটলারের চমৎকার ইনিংসে বেঙ্গালুরুকে ৫ উইকেটে হারায় রাজস্থান। ১৮৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা ৫ বল বাকি থাকতে।
চলতি আইপিএলে এত দিন ছিল না কোনো সেঞ্চুরি। জয়পুরে একদিনেই দেখা মেলল দুটির। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন ভিরাট কোহলি। কিন্তু ভারতীয় তারকা ব্যাটসম্যানের ৭২ বলে ১১৩ রানের অপরাজিত ইনিংসটি বিফলে গেল। এই টুর্নামেন্টে পরাজিত দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি তার, তিনটি।
আইপিএলে এটি বাটলারের ষষ্ট সেঞ্চুরি। ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি এই টুর্নামেন্টে ক্রিস গেইলের সঙ্গে যা যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সবচেয়ে বেশি শতকের রেকর্ড কোহলির, আটটি।
এবারের আইপিএলে ছন্দহীনতায় ভুগছিলেন বাটলার। প্রথম তিন ম্যাচে একবারও ১৫ রান ছুঁতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। লাক্ষ্ণৌ ও দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে করেন ১১ করে রান, আগের ম্যাচে মুম্বাইয়ের সঙ্গে করেন ১৩। ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে এবার উপহার দিলেন ম্যাচজয়ী সেঞ্চুরি।
রান তাড়ায় ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ইয়াশাসভি জয়সওয়ালকে হারায় রাজস্থান। উইকেটে গিয়ে দ্রুত রান বাড়াতে থাকেন সাঞ্জু স্যামসন। আরেক প্রান্তে বাটলার শুরুতে কিছুটা দেখেশুনে খেলেন। প্রথম ১০ বলে করেন ১০ রান।
ষষ্ট ওভারে মায়াঙ্ক ডাগারের ওপর ঝড় বইয়ে ডানা মেলে দেন বাটলার। মারেন এক ছক্কা ও তিনটি চার। দশম ওভারে ৩০ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি। পরের ওভারে ডাগারকে ছক্কায় স্যামসন পা রাখেন পঞ্চাশে, ৩৩ বলে।
স্যামসন ফিরে যান ২ ছক্কা ও ৮ চারে ৪২ বলে ৬৯ রান করে। ভাঙে ১৪৮ রানের জুটি। অধিনায়কের বিদায়ের পরও বাটলার খেলে যান নিজের মতো।
শেষ দিকে অনিশ্চয়তায় পড়ে যায় তার সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত সব আশঙ্কা উড়িয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরিটি বাটলার তুলে নেন দারুণভাবে।