ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সফল এই ব্যাটসম্যান দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের দূরে থাকলেও তাকে দেখা যেতে পারে নিউ জিল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলে।
Published : 04 Apr 2024, 01:55 PM
মূল ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্তত এক ডজনকে পাওয়া যাচ্ছে না পাকিস্তান সফরে। নিউ জিল্যান্ডের নির্বাচকরা তাই কড়া নাড়েন কলিন মানরোকর দুয়ারে। কিন্তু দুয়ার খোলেননি অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। তার জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা অবশ্য তাতে শেষ হয়ে যায়নি। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলেও তাকে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের নির্বাচকরা।
ক্রিকেট বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর পরিচিত মুখ হলেও গত চার বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা যায়নি মানরোকে। এক টেস্ট, ৫৭ ওয়ানডে ও ৬৫ টি-টোয়েন্টি খেলা আগ্রাসী ব্যাটসম্যান সবশেষ নিউ জিল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে।
এক সময় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল মানরোর (৩টি)। এই সংস্করণে তার সামগ্রিক পারফরম্যান্সও দুর্দান্ত। ৬২ ইনিংসে ১ হাজার ৭২৪ রান করেছেন তিনি ১৫৬.৪৪ স্ট্রাইক রেটে। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে সবশেষ পাঁচ ম্যাচেও তার ফিফটি আছে দুটি। তবে ওয়ানডেতে ফর্ম হারিয়ে ২০২০ সালে বোর্ডের কেন্দ্রী চুক্তিও হারান তিনি।
তার পরও তার আশা ছিল, ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে তাকে নেওয়া হবে। কিন্তু সেই সুযোগ তিনি পাননি। এটা নিয়ে অসন্তুষ্টির কথাও বলেছেন নানা সময়ে। এরপর জাতীয় দল থেকে দূরেই আছেন তিনি।
এবার এই মাসের পাকিস্তান সফরে নিউ জিল্যান্ড পাচ্ছে না আইপিএলে থাকা ৯ ক্রিকেটারকে। কাউন্টি ক্রিকেটে ব্যস্ততা ও ছুটি মিলিয়ে এই সফরে নেই উইল ইয়াং, টম ল্যাথামরাও। নির্বাচকদের মনে পড়ে মানরোর কথা।
৩৭ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান সেই আহবানে সাড়া দেননি। তবে তাকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিচ্ছেন না নির্বাচকরা, জানালেন নিউ জিল্যান্ডের সিলেকশন ম্যানেজার স্যাম ওয়েলস।
“কলিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম আমরা। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সে অবশ্যই খুব ভালো পারফর্ম করেছে গত কয়েক বছরে। বিশেষ করে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) তার রেকর্ড দুর্দান্ত। এই পাকিস্তান সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে সে, তবে অবশ্যই সে সম্ভাব্য একজন বিকল্প (বিশ্বকাপের জন্য)।”
মানরোকে ফেরানো নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের নির্বাচকদের আগ্রহ মূলত সিপিএল পারফরম্যান্সের কারণেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই টুর্নামেন্টে বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন তিনিই। ১ সেঞ্চুরি ও ১৬ ফিফটিতে তার রান এখানে প্রায় আড়াই হাজার। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে। ক্যারিবিয়ার উইকেটগুলো সম্পর্কে তার মতো ধারণা নেই নিউ জিল্যান্ডের আর কারও।
নিউ জিল্যান্ডের টপ অর্ডারে অবশ্য বিকল্পের ঘাটতি নেই। ফিন অ্যালেন, ডেভন কনওয়ে, রাচিন রাভিন্দ্রা আছেন সেখানে। এবারের পাকিস্তান সফরের দলে নেওয়া হয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটে ছক্কার ঝড় তোলার তরুণ ওপেনার টিম রবিনসনকে।
তবে তার পরও মানরোর সুযোগ আসতে পারে, বলছেন নির্বাচক স্যাম ওয়েলস।
“আমাদের টপ অর্ডার যে মোটামুটি থিতু, এটা বুঝতে তো গবেষণা করার প্রয়োজন হয় না। তবে চোটাঘাত আসতে পারে কারও বা এরকম কোনো কিছু যদি হয়, তার (মানরো) সুযোগ আমরা এখনও দেখছি।”