প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ইতিহাসে বিরল কীর্তি গড়লেন ভারতের দুই ক্রিকেটার।
Published : 27 Feb 2024, 04:45 PM
দশম উইকেটে তানুশ কোটিয়ান ও তুষার দেশপান্ডে যখন জুটি বাঁধেন, দলের স্কোর তখন সাড়ে তিনশর নিচে। সেই জুটি যখন ভাঙল, দলের স্কোর প্রায় পৌনে ছয়শ! দুইশ ছাড়ানো জুটির পথে দুই ব্যাটসম্যানই করলেন সেঞ্চুরি। জায়গা পেয়ে গেলেন তারা রেকর্ড বইয়ে।
রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার-ফাইনালে বারোদার বিপক্ষে মুম্বাইয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে তানুশ সেঞ্চুরি করেছেন ১০ নম্বরে নেমে, ১১ নম্বরে নেমে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন তুষার।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ইতিহাসে স্রেফ দ্বিতীয়বারের মতো একই ইনিংসে সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন ১০ ও ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান।
মুম্বাইয়ের বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্স মাঠে ম্যাচের চতুর্থ দিন মুম্বাই ৩৩৭ রানে ৯ উইকেট হারানোর পর শুরু হয় তানুশ ও তুষারের জুটির পথচলা। দিন শেষে তানুশ ৩২ ও তুষার ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
পঞ্চম দিন মঙ্গলবার তানুশ প্রথমে সেঞ্চুরিতে পা রাখেন ১১৫ বলে। পরে তুষার ১১২ বলে পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দুজনেরই প্রথম সেঞ্চুরি এটি।
দিল্লি ক্যাপিটালস ও চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএলে খেলা পেসার তুষারের বিদায়ে ভাঙে ২৩২ রানের জুটি। ১২৯ বলে ৮ ছক্কা ও ১০ চারে তিনি করেন ১২৩ রান।
১০ চার ও ৪ ছক্কায় ১২৯ বলে ১২০ রানে অপরাজিত থাকেন অফ স্পিনার তানুশ। মুম্বাই থামে ৫৬৯ রানে।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একই ইনিংসে ১০ ও ১১ নম্বর ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরির প্রথম কীর্তিও দুজন ভারতীয়র। ১৯৪৬ সালে ইন্ডিয়ান্স দলের হয়ে সারের বিপক্ষে তিন দিনের ম্যাচে ১০ নম্বরে নেমে চান্দু সারওয়াত করেন অপরাজিত ১২৪ রান, ১১ নম্বরে সরোদিন্দু নাথ ব্যানার্জীর ব্যাট থেকে আসে ১২১ রান।
সে বছর ভারতের পাঁচ মাসের ইংল্যান্ড সফরে বেশ কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচের একটি ছিল এটি।
সারওয়াত ও সরোদিন্দুর জুটিতে এসেছিল ২৪৯ রান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দশম উইকেটে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি।
এই তালিকায় তানুশ ও তুষারের ২৩২ রানের জুটি আছে ছয় নম্বরে। ভারতের মাটিতে প্রথম শ্রেণির ম্যাচে শেষ উইকেটে তাদের চেয়ে বড় জুটি আছে আর একটি। স্রেফ ১ রানের জন্য সেই রেকর্ড ছুঁতে পারেননি এই দুজন।
রঞ্জি ট্রফিতেই ১৯৯১-৯২ মৌসুমে সেমি-ফাইনালে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দিল্লির হয়ে বোম্বের (এখন মুম্বাই) বিপক্ষে ২৩৩ রানের জুটি গড়েছিলেন আজায় শার্মা ও মাহিন্দার সিং।
তুষারের ১২৩ রান প্রথম শ্রেণির ইতিহাসে ১১ নম্বরে নেমে চতুর্থ সর্বোচ্চ এবং ভারতীয় কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ইনিংস। তিনি ছাড়িয়ে গেছেন সরোদিন্দুর ১২১ রানের ইনিংসকে।
বিশ্ব রেকর্ডটি ইংল্যান্ডের পিটার স্মিথের। ১৯৪৭ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে এসেক্সের হয়ে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে ১১ নম্বরে নেমে ১৬৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।