মাশরাফিদের ১ রানের জয়, দলকে জিতিয়ে হৃদয়ের ২ রানের আক্ষেপ

শেষ বলের নাটকীয়তায় জয় মাশরাফির রূপগঞ্জের, ম্যাচ জেতানো ইনিংসে ৯৮ রানে অপরাজিত তাওহিদ হৃদয়।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 April 2023, 01:06 PM
Updated : 13 April 2023, 01:06 PM

ঢাকা লেপার্ডসের ১ বলে প্রয়োজন ২ রান। ডেলিভারি না করে নন স্ট্রাইকে রান আউটের চেষ্টা করলেন চিরাগ জানি। পপিং ক্রিজেই থাকায় বেঁচে গেলেন উমর আমিন। পরে স্লোয়ার ডেলিভারি শর্ট মিড উইকেটের দিকে খেলে রানের জন্য ছুটলেন সোহরাওয়ার্দি শুভ। তার আগেই বল ধরে দৌড়ে স্টাম্প ভেঙে দিলেন বদলি ফিল্ডার আশিক উল আলম। লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ পেল রোমাঞ্চকর এক জয়।

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচে লেপার্ডসকে ১ রানে হারিয়েছে রূপগঞ্জ। ২৬৮ রান তাড়ায় ৬ উইকেট হারিয়ে ২৬৭ রানে থেমেছে নবাগত লেপার্ডস।

দশ ম্যাচে রূপগঞ্জের এটি অষ্টম জয়। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বর স্থান ধরে রেখেছে তারা। সমান ম্যাচে স্রেফ এক জয়ে টেবিলের তলানিতে লেপার্ডস।

অলরাউন্ড নৈপুণ্যে রূপগঞ্জের নাটকীয় জয়ের নায়ক দুই আসর ধরেই দারুণ খেলতে থাকা চিরাগ জানি। শেষ ওভারে অসাধারণ বোলিংসহ ২ উইকেটের পাশাপাশি ব্যাট হাতে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন ভারতীয় পেস বোলিং অলরাউন্ডার। ম্যাচ সেরার পুরস্কার তার হাতেই ওঠে।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অল্পেই ফেরেন মুনিম শাহরিয়ার। দ্বিতীয় উইকেটে হাল ধরেন পারভেজ হোসেন ইমন ও সাব্বির রহমান। দুজনই খেলেন আসরে নিজেদের তৃতীয় পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস।

দলীয় একশ পূরণ হওয়ার আগে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন পারভেজ। ৩টি করে চার-ছয়ে ৭০ বলে ৫২। সাব্বিরও পঞ্চাশের পর বেশি দূর যেতে পারেননি। ৫ চার ও ১ ছয়ে করেন ৬৬ বলে ৫৪ রান।

এরপর ফারদিন হাসান, ইরফান শুক্কুর, মাশরাফি বিন মুর্তজা, জাওয়াদ রোয়েনরা অল্পেই ফিরে গেলে দুইশর আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে যায় রূপগঞ্জ।

শেষ দিকের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন চিরাগ জানি। আসর জুড়ে দারুণ খেলতে থাকা ভারতীয় অলরাউন্ডার তুলে নেন নিজের পঞ্চম ফিফটি। ৭ চারে খেলেন ৫০ বলে ৫৯ রানের ইনিংস।

সোহাগ গাজী ৩ ছয়ে করেন ২৩ বলে ২৬ রান। উমর আমিনের শেষ ওভারে তিন ছক্কা ও এক চারে রূপগঞ্জকে আড়াইশ পার করান মুক্তার আলি। স্রেফ ১০ বলে করেন ২৫ রান।

লেপার্ডসের পক্ষে ১০ ওভারে ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন মইন খান। আরিফুল জনি ও উমরের শিকার ২টি করে উইকেট।

রান তাড়ায় পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় লেপার্ডস। পিনাক ঘোষ (১), জসিম উদ্দিন (৫) ও জাকিরুল ইসলাম (১৮) ফেরেন অল্পেই।

চাপ সামলে চতুর্থ উইকেটে ১৬৭ রানের জুটি গড়েন উমর আমিন ও সাব্বির হোসেন। দুজনই খেলেন পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। পাকিস্তানি উমরের ব্যাট থেকে আসে সেঞ্চুরি।

৭৪ বলে পঞ্চাশ করার পর তিন অঙ্কে যেতে স্রেফ ৩০ বল নেন উমর। সাব্বির ৫০ করেন ৭৭ বল খেলে।

৪০ ওভার শেষ হওয়ার ক্র্যাম্প করায় আহত অবসর হয়ে মাঠ ছেড়ে যান উমর। ফেরার আগে ৮ চার ও ২ ছয়ে করেন ১২৫ বলে ১১৯ রান। লেপার্ডসের জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন ছিল ৬০ বলে ৭০ রান।

এরপর সাব্বিরও বেশি দূর যেতে পারেননি। একটি করে চার-ছয়ে ৯১ বলে ৬৪ রান করে আউট হন তিনি। তবে সোহরাওয়ার্দি শুভ ও মইন আলির ব্যাটে জয়ের কক্ষেই ছিল লেপার্ডস।

দুই ওভার বাকি থাকতে রান আউট হন ১৯ রান করা মইন। আবার ব্যাটিংয়ে নামেন উমর। তবে এবার আর বেশি কিছু করতে পারেননি তিনি।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৭ রান। প্রথম পাঁচ বলে স্রেফ ৫ রান দেন চিরাগ। পরে শেষ বলে সোহরাওয়ার্দি রান আউট হলে রূপগঞ্জ পায় অবিস্মরণীয় এক জয়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ:
৫০ ওভারে ২৬৮/৮ (মুনিম ৫, পারভেজ ৫২, সাব্বির ৫৪, ফারদিন ১৩, চিরাগ ৫৯, ইরফান ১২, মাশরাফি ০, জাওয়াদ ১০, সোহাগ ২৬, মুক্তার ২৫; আরিফুল ১০-০-৫০-২, সালাউদ্দিন ১০-০-৬২-০, মইন ১০-১-৩৪-৩, দেলোয়ার ১-১-০-০, সোহরাওয়ার্দি ৮-০-৩৩-১, উমর ৮-০-৬৪-২, রায়হান ৩-০-২৪-০)

ঢাকা লেপার্ডস: ৫০ ওভারে ২৬৭/৬ (পিনাক ১, জসিম ৫, উমর ১২৮*, জাকিরুল ১৮, সাব্বির ৬৪, সোহরাওয়ার্দি ২৫, মইন ১৯; চিরাগ ১০-২-৫৬-২, সোহাগ ১০-২-৩০-১, রাজিবুল ৮-০-৩৮-১, জাওয়াদ ৮-০-৪৩-০, মুক্তার ৫-০-৪০-০, মাশরাফি ৯-০-৫৮-০)

ফল: লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ১ রানে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ:
চিরাগ জানি

শেখ জামালের জয়ে হৃদয়ের ২ রানের আক্ষেপ

দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১ রান। সেঞ্চুরি ছুঁতে তাওহিদ হৃদয়ের দরকার ৬। রেজাউর রহমান রাজার ঝুলিয়ে দেওয়া ফুল টস মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারলেন হৃদয়। অল্পের জন্য সীমানার আগেই পড়ল বল, হলো বাউন্ডারি। সেঞ্চুরি না পেলেও দলকে জেতানোর তৃপ্তি নিয়ে মাঠ ছাড়লেন হৃদয়।

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে হৃদয় ও সাইফ হাসানের ফিফটিতে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ২৪৫ রানের লক্ষ্য ২০ বল আগেই ছুঁয়ে ফেলে তারা।

দশ ম্যাচে ৯ জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে অবস্থান করছে শেখ জামাল। প্রাইম ব্যাংক ১২ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে চারে।  

চলতি লিগে নিজের তৃতীয় ফিফটিতে ১১৮ বলে ৯৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন হৃদয়। তার হাতেই উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। সাইফের ব্যাট থেকে আসে ৭০ রানের ইনিংস।

রান তাড়ায় পঞ্চাশের আগেই ড্রেসিং রুমে ফিরে যান রবিউল ইসলাম রবি ও ফজলে মাহমুদ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে প্রাথমিক চাপ সামাল দেন সাইফ ও হৃদয়। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৭ চার ও ৩ ছয়ে ৮০ বলে নিজের ইনিংস সাজান সাইফ। 

দলীয় ১১৩ রানের মাথায় আউট হন ডানহাতি ওপেনার। এরপর আর বিপদ ঘটতে দেননি হৃদয় ও নুরুল হাসান সোহান। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ১৩৫ রানের জুটিতে সহজ জয় পায় শেখ জামাল।

৬ চারের পাশাপাশি ৩টি ছক্কা মারেন হৃদয়। সোহান খেলেন ৩ চার ও ২ ছয়ে ৫৯ বলে ৪৪ রানের ইনিংস। 

প্রাইম ব্যাংকের আড়াইশ ছুঁইছুঁই সংগ্রহের কারিগর মুশফিকুর রহিম। পাঁচ নম্বরে নেমে ৭ চার ও ১ ছয়ে ৭৫ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। চলতি লিগে পাঁচ ম্যাচে এটি তার দ্বিতীয় ফিফটি।

এছাড়া শাহাদাত হোসেন ৩৩, নাসির হোসেন ৩৪ ও শেখ মেহেদি হাসান অপরাজিত ৩০ রানের তিনটি ইনিংস খেলেন। 

দারুণ বোলিংয়ে ইবাদত হোসেন নেন ৪টি উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব:
৪৯.১ ওভারে ২৪৪ (প্রান্তিক ১৯, শাহাদাত ৩৩, মিঠুন ১৯, নাসির ৩৪, মুশফিক ৭৭, ইয়াসির ১৩, জানাত ০, শেখ মেহেদি ৩০*, তাইজুল ০, রাজা ৯, শরিফুল ৫; ইবাদত ১০-১-৪১-৪, পারভেজ ১০-০-৫৮-১, মৃত্যুঞ্জয় ৭.১-০-৪৬-১, জিয়াউর ৪-০-১৬-১, আরিফ ১০-১-৪০-১, তাইবুর ৮-০-৪০-১)

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব: ৪৬.৪ ওভারে ২৪৮/৩ (সাইফ ৭০, রবি ১৮, ফজলে ২, হৃদয় ৯৮, সোহান ৪৪; শরিফুল ৬-০-৫৮-০, রাজা ৮.৪-০-৫০-০, তাইজুল ১০-৩-২৫-১, শেখ মেহেদি ১০-০-৫৫-১, জানাত ৮-০-৩৬-১ নাসির ৪-০-১৯-০)

ফল: শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৭ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ:
তাওহিদ হৃদয়

নাঈম-মোসাদ্দেকের ফিফটিতে জয়ে ফিরল আবাহনী

আজমির আহমেদ, ইলিয়াস সানি ও মার্শার আইয়ুবের ফিফটিতে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। তবে ডেথ ওভারের দারুণ বোলিংয়ে তা হতে দেননি তানজিম হাসান সাকিব, সাইফ উদ্দিনরা।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে আবাহনীর জয় ৯ রানে। ২৬৮ রানের লক্ষ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রানের বেশি করতে পারেনি অগ্রণী ব্যাংক।

দশ ম্যাচে শেখ জামালের সমান ১৮ পয়েন্ট হলেও নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে আবাহনী। ৬ পয়েন্ট নিয়ে অগ্রণী ব্যাংকের অবস্থান দশম।

টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৭১ রান যোগ করেন এনামুল হক ও নাঈম শেখ। আসরের দারুণ শুরু করা এনামুল টানা তৃতীয় ম্যাচে ব্যর্থ হন ফিফটি ছুঁতে। ৪ চারে করেন ২৮ রান।

তিন নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন শান্তও হতাশ করেন। চারে ফেরা আফিফ হোসেন খেলেন ৩০ বলে ৩১ রানের ইনিংস।

তবে নাঈমের কোনো ভুল হয়নি। দশম ম্যাচে অষ্টম পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেন তিনি। তবে আরও একবার থামেন সেঞ্চুরির আগেই। আসাদুজ্জামান পায়েলের বলে বোল্ড হন ১০ চার ও ২ ছয়ে ৭৫ বলে ৭৯ রান করে।

এই ইনিংসের সৌজন্যে এবারের লিগে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৭০০ রান পূরণ করেন নাঈম। ১০ ম্যাচে ১০২.৭১ গড়ে ৭ ফিফটি ও ১ সেঞ্চুরিতে ৭১৯ রান করেছেন তিনি।

নাঈমের বিদায়ের পর ইনিংস এগিয়ে নেন মোসাদ্দেক হোসেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৬৯ বলে ৫২ রান। এছাড়া সাইফ উদ্দিনের ২২ বলে ৩৩ রানের ক্যামিওর সৌজন্যে আড়াইশ ছাড়িয়ে যায় আবাহনী।

রান তাড়ায় শুরুতেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন সাদমান ইসলাম। তিন নম্বরে নামা জহুরুল ইসলাম ভালো শুরু করলেও ৩ চার ও ২ ছয়ে ২৬ রান করে আউট হন।

তৃতীয় উইকেটে আজমির আহমেদ ও ইলিয়াস সানি গড়েন ৬০ রানের জুটি। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৪টি করে চার-ছয়ে ৬৩ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন আজমির। দলকে একশ পার করিয়ে ফেরেন তিনি।

এরপর মার্শাল আইয়ুব ও ইলিয়াসের জুটিতে এগোতে থাকে অগ্রণী ব্যাংক। রান আউটে ভাঙে ৭৩ রানের জুটি। ২ চার ও ৩ ছয়ে ৮০ বলে ৫৭ রান করেন ইলিয়াস।

আজিম নাজির কাজি ফেরেন অল্পেই। তবে মার্শালের সঙ্গে মিলে লড়াই করেন শরিফউল্লাহ ও আবু হায়দার রনি। ৪ চারে ১৯ বলে ২৬ রান করেন শরিফউল্লাহ। আবু হায়দার খেলেন ১৭ বলে ১৯ রানের ইনিংস। 

শেষ ৫ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ৪৩ রান। অগ্রণী ব্যাংক ৩৩ রানের বেশি করতে পারেনি। মার্শাল অপরাজিত থেকে যান ৩ চারে ৭১ বলে ৫৮ রান করে। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আবাহনী লিমিটেড: ৫০ ওভারে ২৬৭ (এনামুল ২৮, নাঈম ৭৯, শান্ত ২, আফিফ ৩১, মোসাদ্দেক ৫২, জাকের ২৭, তানজিম ২*, নাহিদুল ২, রাকিবুল ০, তানভির ১; আবু হায়দার ১০-১-৫৬-২, এনামুল ১০-০-৫৭-৩, শরিফউল্লাহ ৯.৫-০-৬৩-১, আসাদুজ্জামান ৮.১-১-৩৫-২, আজমির ৩-০-১১-১, ইলিয়াস ২-০-১৬-০, আজিম ৭-০-২৭-০)

অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৫০ ওভারে ২৫৮/৬ (আজমির ৬০, সাদমান ১, জহুরুল ২৬, ইলিয়াস ৫৭, মার্শাল ৫৮*, আজিম ৪, শরিফউল্লাহ ২৬, আবু হায়দার ১৯*; রাকিবুল ১০-২-৪১-২, নাহিদুল ১০-১-৩৮-২, তানভির ৭-০-৪৪-০, সাইফ উদ্দিন ১০-০-৬২-১, তানজিম ১০-১-৪৬-০, মোসাদ্দেক ২-০-১৪-০, আফিফ ১-০-১২-০)

ফল: আবাহনী লিমিটেড ৯ রানে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নাঈম শেখ