‘বিশ্বকাপ জয়ের দারুণ সুযোগ হারিয়েছে পাকিস্তান’

তবে উত্তরসূরিদের হার না মানার মানসিকতা মনে ধরেছে ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী ইনজামাম-উল-হকের।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2022, 09:17 AM
Updated : 14 Nov 2022, 09:17 AM

বিশ্বকাপ জয়ের অনুভূতি এবং কাছে গিয়েও ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে না পারার হতাশা; দুই অভিজ্ঞতাই আছে ইনজামাম-উল-হকের। তাই বাবর আজমদের মনের অবস্থা খুব ভালো করেই বুঝতে পারছেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক। উত্তরসূরিদের শিরোপা জেতার সুযোগ হাতছাড়া করার আক্ষেপ হচ্ছে তারও। তবে দলের হার না মানা মানসিকতায় মুগ্ধ এই ব্যাটিং গ্রেট।

মেলবোর্নের মহামঞ্চে রোববার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে ৫ উইকেটে হেরে যায় পাকিস্তান। ব্যাটসম্যানরা খুব বড় পুঁজি এনে দিতে না পারলেও বোলাররা অনেকটা সময়ই লড়াইয়ে রাখে দলকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের ১৩৭ রান ইংলিশরা পেরিয়ে যায় ৬ বল বাকি থাকতে।

ভারত ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নাটকীয় দুই হার দিয়ে শুরু অস্ট্রেলিয়া আসরে পাকিস্তানের পথচলা। তবে হাল ছাড়েনি তারা। ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা চার ম্যাচ জিতে ফাইনালে জায়গা করে নেয় ২০০৯ আসরের চ্যাম্পিয়নরা।

শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের আগে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল ১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সেবার ঠিক একই ভেন্যুতে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে নিজেদের প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছিল পাকিস্তান। ইমরান খানের সেই দলের সদস্য ছিলেন ইনজামাম।

পরে ১৯৯৯ সালে আবারও ফাইনাল খেলে পাকিস্তান। কিন্তু বাজে ব্যাটিংয়ে লর্ডসের ওই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারে ৮ উইকেটে। ওই ম্যাচেও খেলেছিলেন ইনজামাম। ইংলিশদের বিপক্ষে এবার বাবরদের হারে তিনি স্মরণ করলেন নিজের বিষাদময় ও আনন্দময় দুই অভিজ্ঞতার কথাই। ইউটিউব চ্যানেলে ম্যাচের পর বললেন, ট্রফি না জিততে পারলেও উত্তরসূরিদের মানসিকতা মনে ধরেছে তার।

“আমরাও ১৯৯৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরেছিলাম। আমি জানি, ওই হারের পর আমাদের দিন কীভাবে কেটেছিল। তাই আমি বুঝতে পারছি, এই ছেলেরা কিসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তবে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ জয়ের অনুভূতিও আমি জানি। বিশ্বকাপ জিতলে কেমন লাগে আর বিশ্বকাপের ফাইনালে হারলে কেমন লাগে, সবই আমার জানা। মানুষও এটা এখন বুঝতে পারছে।”

“মূল বিষয় ছিল, পাকিস্তান কীভাবে টুর্নামেন্টে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তারা যেখানে ছিল এবং যেখানে থেকে শেষ করেছে, তা দুর্দান্ত ছিল। সব কৃতিত্ব বাবর আজম ও তার দলকে দেওয়া উচিত। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো এই দলটি লড়াইয়ের মানসিকতা দেখিয়েছে।”

পাকিস্তানের হারের মূলে ছিল তাদের ব্যাটিং। ইনজামাম বললেন, আরও কিছু রান করতে পারলেই ফল অন্য রকম হতে পারত।

“এটা কিছুটা হতাশার যে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ের দারুণ সুযোগ ছিল কিন্তু তারা জিততে পারেনি। আমাকে অবশ্যই ছেলেদের প্রশংসা করতে হবে। ১৫তম ওভার পর্যন্ত ভালো খেলেছে পাকিস্তান। কিন্তু শেষ পাঁচ ওভারে অতিরিক্ত ২০-২৫ রান করতে ব্যর্থ হয় তারা। আমার বিশ্বাস, ১৬০ এবং ১৭০ এর মধ্যে সংগ্রহ লড়াইয়ের হতো। এমন পুঁজি তাড়া করতে গিয়ে অনেক চাপে থাকত ইংল্যান্ড।”

“পাকিস্তানি বোলাররা দারুণ চেষ্টা করেছে। ভালো ব্যাপার হলো, তাদের শরীরী দারুণ ছিল। পাকিস্তানও ম্যাচ জিততে পারত। লোকেরা ১৯৯২ বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তির কথা বলছিল এবং আমি বিশ্বাস করি যে পাকিস্তান জিততে পারত।”