ক্রিকেট মাঠের মতো মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান জনপ্রতিনিধি হিসেবেও মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবেন বলে বিশ্বাস বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুসের।
Published : 09 Jan 2024, 05:09 PM
নির্বাচনে জয়ের পর এবার নিজেদের অভিভাবক সংস্থা থেকে স্বীকৃতি পেতে পারেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান। সদ্য সংসদ সদস্য হওয়া দুই তারকা ক্রিকেটারকে বিসিবির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে বলে জানালেন বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামেন মাশরাফি। নড়াইল-২ আসনে সেবার বিপুল ভোটে জেতেন সেই সময়ের ওয়ানডে অধিনায়ক। এবার দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনেও নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য হলেন তিনি।
নির্বাচনে সাকিবের এবারই প্রথম। মাগুরা-২ আসনে প্রায় দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে জিতে জাতীয় সংসদে আইনপ্রণেতা হলেন তিনি।
সংসদ সদস্য হওয়ার আগে তাদের পরিচয় ক্রিকেটার। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তারা ছিলেন বিসিবির তত্ত্বাবধানে। এবার আরও বৃহৎ পরিসরে তাদের সাফল্যে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থাটি উচ্ছ্বসিত বলেই জানালেন বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস।
“আমরা দুজনকেই স্বাগত জানাই। এখন হয়তো তাদের খেলা আছে। তবে একটা পর্যায়ে তারা খেলা ছেড়ে দেবে। সাকিবও হয়তো কয়েক বছরের মধ্যে খেলা ছেড়ে দেবে। তখন আমার মনে হয়, তারা পূর্ণ সময় দিয়ে নিজের এলাকার জন্য, দেশের জন্য কাজ করবে এবং ভালোই করবে। আমার মনে হয়, তারা এই সিদ্ধান্ত যে নিয়েছে, খুব ভালো সিদ্ধান্ত।”
“আমরা এখনও (সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যাপারে) চিন্তাভাবনা করিনি। হয়তো সামনে যে বোর্ড সভা আছে, তখনই... অবশ্যই তাদের (মাশরাফি ও সাকিব) সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা আমাদের ভাবনায় আছে। তবে কিভাবে কী করব, সেটা এখনই বলতে পারছি না।”
বিসিবিতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসা এই পরিচালক মাশরাফিকে কাছ থেকে দেখেছেন ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই। গত পাঁচ বছরে তিনি চোখ রেখেছেন মাশরাফির নতুন পরিচয়ের নানান কর্মকাণ্ডেও। গত পাঁচ বছরে নড়াইলে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের প্রশংসা করলেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেট সংগঠক।
“মাশরাফি পাঁচ বছরের একটা মেয়াদ শেষ করেছে এরই মধ্যে। তারপর আবার নতুনভাবে আরেক মেয়াদে এমপি হয়েছে। মাশরাফির মধ্যে আগে থেকেই একটা নেতৃত্বগুণ ছিল এবং সে তার এলাকায় ভালো করছিল। এটা অবশ্যই আনন্দের খবর যে ক্রিকেটের একজন ব্যক্তিত্ব জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে নিজের এলাকায় ভালো কাজ করছে। এতে অবশ্যই আমরাও আনন্দিত।”
জালাল ইউনুসের আশা, ক্রিকেট মাঠের ক্ষুরধার সাকিব এবার নতুন পরিচয়েও বজায় রাখবেন সাফল্যের ধারা।
“এবার সাকিব এমপি হয়েছে। সাকিবও অনেক পেশাদার ও প্রতিভাবান ক্রিকেটার। তার দায়িত্ব সে ভালোই বোঝে। আমি তাদের (নির্বাচনী প্রচারণা) দেখছিলাম। তার কথাবার্তা, গণমানুষের সঙ্গে সংযোগ দেখছিলাম। সে যেভাবে ক্রমেই উন্নতি করেছে, সব ভালোভাবে সামলে নিয়েছে... এখানে সাকিব সফল হবে। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে সেও নিজের এলাকায় সফল বলে মনে করি।”