ফের কোয়াবের নেতৃত্বে দুর্জয়-দেবব্রত

মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালসহ বর্তমান ক্রিকেটারদের বেশিরভাগই কোয়াবের বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুপস্থিত ছিলেন।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2023, 01:00 PM
Updated : 20 May 2023, 01:00 PM

চার বছর আগে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে নাইমুর রহমান দুর্জয় ও দেবব্রত পালের নেতৃত্বাধীন কোয়াবের কার্যনির্বাহী কমিটির বিলুপ্তির দাবি তুলেছিলেন জাতীয় ক্রিকেটাররা। তাদের বেশিরভাগের অনুপস্থিতিতে হয়ে যাওয়া কাউন্সিলে আবারও দায়িত্ব পেলেন সেই দুজনই। 

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মিডিয়া প্লাজায় শনিবার হয়েছে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) বার্ষিক সাধারণ সভা। ঘরোয়া ও জাতীয় পর্যায়ের সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারদের উপস্থিতিতে এক রকমের মিলনমেলায় রূপ নেয় এই আয়োজন। তবে মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালের মতো তারকাদের অনুপস্থিতিতে সেটি কিছুটা রঙ হারায়। 

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন দুর্জয়। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে থাকছেন দেবব্রত। ২০১৪ সালে সবশেষ অনানুষ্ঠানিক এজিএমের পর থেকেই কোয়াবের নেতৃত্বে আছেন দুর্জয় ও দেবব্রত। নতুন কেউ দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ না করায় আগামী ৪ বছরও তারা থাকবেন এই পদে। 

সাবেক অধিনায়কদের মধ্যে রকিবুল হাসান, আকরাম খান, খালেদ মাহমুদ, মিনহাজুল আবেদিন, হাবিবুল বাশাররা উপস্থিত হন এজিএমে। এছাড়া আতহার আলি খান, জাভেদ ওমরদের পাশাপাশি নাঈম ইসলাম, মার্শাল আইয়ুব, তুষার ইমরান, নুরুল হাসান সোহানরাও ছিলেন। 

কিছু দিন আগে ইংল্যান্ড সফরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলা জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বেশিরভাগই ছিলেন না। জাতীয় দলের প্রতিনিধি হয়ে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত। নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে অধিনায়ক নিগার সুলতানা, জাহানারা আলম, ফারজানা হক পিংকিরা এজিএমে উপস্থিত ছিলেন।

দুর্জয় ও দেবব্রতকে পুনরায় নির্বাচিত করা হলেও এজিএমে কোয়াবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। এত দিন ধরে কোয়াবের কার্যনির্বাহী কমিটি ছিল ১১ জনের। এবারের এজিএমে গঠনতন্ত্রে সংশোধনী এনে আরও ৮টি পদ বাড়ানো হয়েছে। 

এছাড়া গঠনতন্ত্রে সংশোধন এনে প্রথমবারের মতো নারী ক্রিকেটারদেরও সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই এজিএমে। তাদের মধ্যে কেউ আগ্রহী থাকলে কার্যনির্বাহী কমিটির দরজাও খোলা বলে জানিয়েছেন দুর্জয়। এমনকি তিনি চেয়েছিলেন, তার পদেও নতুন কেউ আসুক। 

“নতুনরা কেউ এলে আমি খুশি হতাম। নতুনরা কেন আসে না এটা ওরা বলতে পারবে। ওদের প্রশ্নের উত্তর তো আমি দিতে পারব না। আসার জন্য দরজা খোলা ছিল। তাদের আমরা আহ্বান জানিয়েছি, যে কেউ আগ্রহী থাকলে একটা প্রক্রিয়া আছে, সেই প্রক্রিয়া অনুযায়ী, তারা যদি প্রার্থিতা ঘোষণা করত বা আসত, আমি তো এখনও চাই, এখনও যদি কেউ আসে, আমরা আবারও চেষ্টা করব তাদের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য।” 

এজিএমের সংবাদ সম্মেলনে উঠে এলো চার বছর আগের প্রসঙ্গ। ২০১৯ সালের অক্টোবরে ১১টি ভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে বিসিবির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন জাতীয় ক্রিকেটাররা। সেখানে প্রথম দাবিই ছিল, কোয়াবের কমিটি বিলুপ্ত করে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা।

দুর্জয়ের মতে, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আগ্রহ ধরে রাখতে পারেননি সেই ক্রিকেটাররা। 

“ক্রিকেটাররা যখন কোয়াবের বিরুদ্ধে আন্দোলন করল, আমরা তাদের সঙ্গে বসেছি। তাদেরকে আমরা বুঝিয়েছি। তাদের ধারণা ছিল, যারা কমিটিতে আছে তারা ছেড়ে দেবে এবং ক্রিকেটাররা নিজেদের মতো কমিটি গঠন করতে পারবে। কিন্তু কোয়াবের গঠনতন্ত্র সেটির অনুমতি দেয় না।”  

“আমরা তাদের বলেছি, কোয়াব একটি অনুমোদিত কল্যাণমূলক সংগঠন। এর কিছু নিয়ম-নীতি আছে। কমিটিতে নতুন যারা আছে, তাদের জন্য সবসময় রাস্তা খোলা আছে। তবে কোয়াবের যে গঠনতন্ত্র সেটি মেনে আসতে হবে। তাদের সঙ্গে আমরা দুই-একবার বসার পরে তারা আগ্রহটা হারিয়ে ফেলেছিল।”