শ্রীলঙ্কার সহকারী কোচ ও বাংলাদেশ যুব দলের সাবেক কোচ নাভিদ নওয়াজ মনে করেন, টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ।
Published : 28 Aug 2022, 11:54 PM
বাংলাদেশের বোলিং নিয়ে শ্রীলঙ্কান অধিনায়কের মন্তব্য শোনার পর বিস্ময় ছড়িয়ে পড়ল নাভিদ নওয়াজের চোখেমুখে। দাসুন শানাকা এমনটা বলতে পারেন, তা যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না শ্রীলঙ্কার সহকারী কোচের। বাংলাদেশে তিনি চার বছর কাজ করে গেছেন, এই দেশের ক্রিকেট সম্পর্কে ধারণা যথেষ্টই আছে। তার মতে বরং শ্রীলঙ্কাই একটু পিছিয়ে।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শনিবার এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হারে শ্রীলঙ্কা। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরবর্তী প্রতিপক্ষের প্রসঙ্গে শানাকা বলেন, আফগানিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা সহজ হবে।
“আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণ বিশ্বমানের। অন্য দিকে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে, আমরা জানি যে ফিজ (মুস্তাফিজুর রহমান) খুব ভালো একজন বোলার। সাকিব (আল হাসান) বিশ্বমানের। এর বাইরে তাদের দলে বিশ্বমানের কোনো বোলার নেই। আফগানিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশ ম্যাচ অনেক বেশি সহজ হবে।”
শানাকার সেই মন্তব্যের পর দুবাইয়ে টিম হোটেলে সংবাদকর্মীদের মুখোমুখি হন নওয়াজ। আগের রাতে লঙ্কান অধিনায়কের মন্তব্যের প্রসঙ্গ উঠে আসে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই। নিজের ভাবনাও ত্বরিত জানিয়ে দেন নওয়াজ।
“এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত হওয়া কঠিন। বাংলাদেশ দলে অনেক প্রতিভা আছে।”
চার বছর বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচ ছিলেন নওয়াজ। তার কোচিংয়ে ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় যুব বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে নেয় বাংলাদেশ। সেই দলটির কয়েক জন এরই মধ্যে পেয়ে গেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ। দলটির সবার সঙ্গেই নিয়মিত যোগাযোগ আছে নওয়াজের, তাদের সাফল্যে সবসময়ই গর্ব অনুভব করেন তিনি।
বাংলাদেশের ক্রিকেটকে কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতার কারণেই শ্রীলঙ্কার চেয়ে সাকিব-মুস্তাফিজদের দলকেই এগিয়ে রাখলেন নওয়াজ।
“বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি নিয়মিত খেলে। বিপিএল নিয়মিত হচ্ছে, অনেক বছর ধরে এই টুর্নামেন্ট হচ্ছে। যেটা খেলোয়াড়দের আর্থিক ও ক্রিকেটীয় দক্ষতার দিক থেকে সমৃদ্ধ করেছে।”
“শ্রীলঙ্কা ততটা টি-টোয়েন্টি খেলে না। এখনও এটা নিয়ে তেমন একটা সংস্কৃতি গড়ে উঠেনি। তাই টেস্ট ও ওয়ানডে যতটা ভালো খেলে, টি-টোয়েন্টি ততটা নয়। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের কেবল একটা আসর হয়েছে। এটা নিয়মিত হলে কয়েক বছরের মধ্যে শ্রীলঙ্কা দলও দাঁড়িয়ে যাবে।”
শানাকার মন্তব্যকে ততটা গুরুত্ব দিতে রাজী নন এশিয়া কাপে দলের সঙ্গে থাকা জাতীয় নির্বাচন হাবিবুল বাশার। তিনি মনে করেন, এটা বাংলাদেশকে চাপে ফেলার কৌশল।
“খেলার আগে কত কথাই তো হবে। এগুলো মাথায় না নিলেই হলো।”
আইসিসি ক্রিকেট একাডেমিতে রোববার বাংলাদেশের অনুশীলনের আগে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই ব্যাপারে কথা বললেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার বললেন, জবাব দিতে চান তারা মাঠেই।
“মাঠে পরিচয় হবে কারা ভালো, কারা খারাপ। যারা ভালো খেলবে তারাই দিন শেষে ম্যাচ জিতবে। তবে এই দল ভালো, ওই দল খারাপ এমন মন্তব্য আমি করতে চাই না। আমি যেটা অনুসরণ করি, আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই মাঠে। আমরা প্রমাণ দিতে চাই মাঠে।”
“আমরা যদি ভালো ক্রিকেট খেলি মাঠে, তাহলে অবশ্যই সবাই জানবে, যে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি, আমরা ভালো দল। আগে থেকেই সব কিছু অনুমান না করে মাঠে ভালো খেলাটাই গুরুত্বপূর্ণ।”