সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের সঙ্গে বৈঠক দিয়ে শেষ হলো বিশ্বকাপ ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত কমিটির সাক্ষাৎকার-পর্ব।
Published : 29 Jan 2024, 05:03 PM
পূর্ব নির্ধারিত অনুশীলনের জন্য সময়মতোই মাঠে হাজির রংপুর রাইডার্স। কিন্তু সেখানে দেখা গেল না সাকিব আল হাসানকে। বেশ কিছুক্ষণ পর তিনি এলেন আলাদা একটি গাড়িতে। তার দেরির কারণ জানা গেল একটু পর। বাংলাদেশ অধিনায়ক আলোচনায় বসেছিলেন বিশ্বকাপ ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানের জন্য গঠিত বিশেষ কমিটির সঙ্গে। তিনি মাঠে আসার পর তামিম ইকবালের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিসিবির ওই কমিটি।
ভারতে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যর্থতার কারণ খতিয়ে দেখতে গত নভেম্বরে তিন সদস্যের এই কমিটি গঠন করে বিসিবি। বোর্ড পরিচালক ও বর্ষীয়ান সংগঠক এনায়েত হোসেন সিরাজকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির বাকি দুই সদস্য বিসিবি পরিচালক মাহবুব আনাম এবং আরেক বিসিবি পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান।
গত দুই মাসে বিশ্বকাপ দলসংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেন তারা। বাকি ছিলেন কেবল অধিনায়ক সাকিব। চোটাঘাত ও জাতীয় নির্বাচনসহ নানা ব্যস্ততায় সাকিবের সঙ্গে বসার সময়-সুযোগ মেলাতে পারছিল না কমিটি। বিশ্বকাপ দলে না থাকলেও অভিজ্ঞ ওপেনার তামিমের সঙ্গেও কথা বলার সিদ্ধান্ত নেন তারা।
এবার বিপিএলের মাঝে সোমবার সিলেট এসে টিম হোটেলে দুজনের সঙ্গে আলোচনায় বসলেন এনায়েত হোসেন, মাহবুব আনামরা। সকালে অনুশীলনে আসার আগে তাদের সঙ্গে কথা বলেন সাকিব। আর দুপুরের দিকে ওই কমিটির সদস্যরা বসেন তামিমকে নিয়ে। পরে আর অনুশীলনে আসেননি ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক।
বৈঠক শেষে ঢাকায় ফেরার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কমিটির আহ্বায়ক জানান, নিজেদের কাজের শেষ পর্যায়ে আছেন তারা।
“সাকিব-তামিম দুজনের সঙ্গে আমরা আলাদাভাবে কথা বলেছি। তবে এটা সংবাদমাধ্যমে বলার মতো না। কারণ এটা খুবই গোপনীয়তার সঙ্গে করা হয়েছে। যখন সময় আসবে, আপনারা দেখতে পাবেন। জনগণও দেখতে পাবে।”
“আমি মনে করি আলোচনা গতিশীল হয়েছে। ফলপ্রসূ হয়েছে কি না, এই মুহূর্তে বলতে পারব না। আমি বললাম, আলোচনা গতিশীল হয়েছে। দুজনকে নিয়ে আলাদা আলাদা বসেছিলাম। আমরা আমাদের প্রতিবেদন বোর্ডে জমা দিয়ে দেব।”
তামিম ইকবালের দলে না থাকা নিয়ে বিশ্বকাপের আগে অনেক ঘটনা ঘটে যায় বাংলাদেশের ক্রিকেটে। সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও বার্তায় বিশ্বকাপ দলে না থাকার ব্যাখ্যায় নিজের অবস্থান তুলে ধরেন তামিম। সেদিনই টি স্পোর্টসে বিস্ফোরক এক সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয় সাকিবের, যেখানে তিনি বিভিন্ন প্রসঙ্গে কাঠগড়ায় তোলেন তামিমকে। বিশ্বকাপে দলের ব্যর্থতার পেছনে এসব ঘটনাপ্রবাহের প্রভাব কতটা ছিল, তা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে দেশের ক্রিকেটে।
তবে সাকিব-তামিমের সঙ্গে আলোচনায় এই দুজনের ব্যক্তিগত সম্পর্কের ব্যাপারটি বিবেচনায় আনেনি বিশেষ কমিটি।
“আপনি যেটাকে (সাকিব-তামিমের) দ্বন্দ্ব বলছেন, আমরা সেটাকে বিবেচনায় আনছি না। পরিস্থিতির কারণে অনেক কিছু হয়। স্থায়ী কিছু না এটা। পৃথিবীর সব কিছুই সমাধানযোগ্য, যদি সমাধান করতে চান এবং সমাধান করতে জানেন।”
“আসলে সার্বিক চিত্র এখানে আছে। শুধু সাকিব-তামিমের বিষয় নয়। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আমরা ভবিষ্যতে কীভাবে পরিচালনা করতে পারি... ওদের কাছেও আমরা কিছু পরামর্শ চেয়েছি, ওরা দিয়েছে। আমরাও ওদের সঙ্গে অনেক কিছু শেয়ার করেছি। তাদের সুবিধা-অসুবিধা সব কিছু আলোচনা হয়েছে।”