ক্রিকেটার ও কোচ, রাহুল দ্রাবিড়ের দুই ভূমিকা নিয়ে এখন তুলনা হয় প্রায়ই। সেই তুলনার পাল্লায় বাসিত আলির কাছে ক্রিকেটার দ্রাবিড় যতটা উঁচুতে, ততটাই তলানিতে কোচ দ্রাবিড়। পাকিস্তানের সাবেক এই স্টাইলিশ ব্যাটসম্যানের মতে, কোচ হিসেবে দ্রাবিড়ের দক্ষতা বলতে কিছু নেই।
চলতি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের দুর্দশা ও টিম ম্যানেজমেন্টের নানা সিদ্ধান্ত দেখে এই মন্তব্য করেন বাসিত। ওভালের ফাইনালে সবুজ উইকেটে ও মেঘলা আকাশের নিচে টস জিতে আগে বোলিং নেয় ভারত। তবে প্রথম দিনেই ৩ উইকেটে ৩২৭ রান তুলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় অস্ট্রেলিয়া।
পরের দুই দিনে ভারত কিছুটা লড়াই করে বটে। তবে এগিয়ে থাকে অস্ট্রেলিয়াই। তৃতীয় দিন শেষে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ২৯৬ রানে এগিয়ে দুই ইনিংস মিলিয়ে।
নব্বইয়ের দশকে স্টাইলিশ ও আগ্রাসী ব্যাটিং দিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে নজরকাড়া বাসিত আলি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বললেন, ভারত ম্যাচ হেরে গেছে আসলে টস জিতে বোলিং নিয়েই।
“ম্যাচের প্রথম দুই ঘণ্টায় ব্যাটিং করা নিয়ে দুর্ভাবনায় ভারত যখন টস জিতে বোলিং নিয়েছে, তারা ম্যাচ হেরে গেছে তখনই। এরপর যেরকম বোলিং তারা করেছে, তা ছিল আসলে আইপিএলের বোলিং। লাঞ্চের সময় ভারতীয় বোলারদের দেখে মনে হচ্ছিল, তারা বুঝি ম্যাচ জিতে গেছে।”
“এখন ভারত যা করতে পারে তা হলো, অস্ট্রেলিয়াকে দ্রুত অলআউট করা এবং চতুর্থ ইনিংসে অলৌকিক কিছুর আশা করা। প্রথম ইনিংসে ভারত যে ১২০ ওভার ফিল্ডিং করেছে, ওদের স্রেফ ২-৩ জনকে ফিট মনে হয়েছে-রাহানে, কোহলি ও জাদেজা। বাকিদের ক্লান্ত মনে হয়েছে।”
নব্বইয়ের দশকে পাকিস্তানের হয়ে ১৯ টেস্ট ও ৫০ ওয়ানডে খেলা বাসিত এখানেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন কোচ দ্রাবিড়কে।
“রাহুল দ্রাবিড়ের বিশাল ভক্ত আমি। সবসময়ই ছিলাম ও থাকব। দুর্দান্ত ক্রিকেটার ছিল সে, একজন কিংবদন্তি। কিন্তু কোচ হিসেবে সে একদমই জিরো।”
“ভারতে আপনার টার্নিং উইকেট বানিয়েছেন। স্রেফ এই প্রশ্নের উত্তর দিন, অস্ট্রেলিয়াতে গিয়ে কি এরকইরকম উইকেট পেয়েছেন? ওখানে বাউন্সি উইকেট ছিল, তাই না? কে জানে, সে আসলে কী ভাবছিল।”