আইপিএলের পারফরম্যান্স দিয়ে ভারত দলে সুযোগ পেয়ে টি-টোয়েন্টিতে এরই মধ্যে কয়েকটি সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন সূর্যকুমার যাদব। কিন্তু ঘরোয়া এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে পাচ্ছিলেন না তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া। অবশেষে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে সেই খরা কাটালেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাটসম্যান।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শুক্রবার গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ৪৯ বলে ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন সূর্যকুমার। তার খুনে ইনিংসটি সাজানো ৬টি ছক্কা ও ১১ চারে।
২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখেন সূর্যকুমার। এই সংস্করণে জাতীয় দলের হয়ে ৪৮ ম্যাচে ১৩ ফিফটির সঙ্গে ৩টি সেঞ্চুরি আছে তার। ২৩ ওয়ানডে ও একটি টেস্ট খেলে এখনও পাননি তিন অঙ্কের দেখা।
আইপিএলে নিয়মিত পারফর্মারদের একজন সূর্যকুমার। চলতি আসরে শুরুতে ধুঁকলেও এখন তিনি আছেন দুর্দান্ত ছন্দে। আগের ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের বিপক্ষে দুইশর বেশি রান তাড়ায় খেলেন ৮৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস, যা ছিল এই টুর্নামেন্টে তার আগের সর্বোচ্চ।
এবার সেটাকে ছাড়িয়ে গেলেন সূর্যকুমার। উপহার দিলেন চলতি আইপিএলের চতুর্থ সেঞ্চুরি। এই আসরে আগের তিন সেঞ্চুরিয়ান হলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হ্যারি ব্রুক, কলকাতা নাইট রাইডার্সের ভেঙ্গাটেশ আইয়ার ও রাজস্থান রয়্যালসের যাশাসবি জয়সওয়াল।
শিরোপাধারী গুজরাটের বিপক্ষে এদিন রশিদ খানের করা সপ্তম ওভারে রোহিত শর্মা ৩১ রান করে বিদায় নিলে ক্রিজে যান সূর্যকুমার। মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলে চার মেরে রানের খাতা খোলেন তিনি।
ওই ওভারের শেষ বলে ইশান কিষানকেও ফিরিয়ে দেন রশিদ। আফগান লেগ স্পিনারের পরের ওভারে আরেকটি উইকেট হারায় মুম্বাই। চাপে পড়া দলের হাল ধরেন সূর্যকুমার। দেখেশুনে খেলে বাড়াতে থাকেন রান।
একটা সময় সূর্যকুমারের রান ছিল ১৭ বলে ২২। এরপর আলজারি জোসেফকে ছক্কায় ওড়ান তিনি। ফিফটি স্পর্শ করেন ৩২ বলে।
পঞ্চাশের পর ঝড় তোলেন সূর্যকুমার। গুজরাটের বোলারদের তুলাধুনা করে ছাড়েন তিনি। তার পরের ৫০ রান আসে স্রেফ ১৭ বলে।
এই সময় মোহিত শর্মাকে ওভারে তিনটি চার ও এক ছক্কায় ওড়ান তিনি। মোহাম্মদ শামিকে মারেন দুই চার ও এক ছক্কা।
কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরিতে পা রাখতে শেষ ওভারে ১৩ রান প্রয়োজন ছিল সূর্যকুমারের। প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে তাকে স্ট্রাইক দেন ক্যামেরন গ্রিন। দ্বিতীয় বলে ডাবল নেন সূর্যকুমার। পরেরটিতে নিতে পারেননি রান।
চতুর্থ বলে ছক্কায় উড়িয়ে নব্বইয়ের ঘরে ঢুকেন তিনি। পরের বলে নেন ডাবল। শতক ছুঁতে শেষ বলে তিন রানের প্রয়োজনে জোসেফকে ফের ছক্কায় উড়িয়ে উল্লাসে মাতেন সূর্যকুমার।
তার তাণ্ডবে শেষ ৪ ওভারে ৬৫ রান তোলে মুম্বাই। ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২১৮।