বিশ্বকাপের জন্য জরুরি প্রয়োজন বিকল্প প্রস্তুত রাখতে সাইফ, তাইজুল, মোসাদ্দেকদের নিয়ে চলছে আলাদা অনুশীলন পর্ব।
Published : 21 Aug 2023, 04:57 PM
এশিয়া কাপের দল ঘোষণার পর বদলে গেছে সাইফ হাসান, তাইজুল ইসলামদের পথ। শুরুতে কিছু দিন জাতীয় দলের সঙ্গে একত্রে অনুশীলন করলেও এখন তারা ঘাম ঝরাচ্ছেন আলাদা করে। তবে অনুশীলন আলাদা হলেও ধরন প্রায় একই। জাতীয় দলের কেউ চোট-টোট পেলে কিংবা কোনো প্রয়োজন পড়লে যেন উপযুক্ত কাউকে প্রস্তুত পাওয়া যায়, সেজন্যই বিকল্প ক্রিকেটারদের এই অনুশীলনে তীব্রতার মাত্রা থাকছে একইরকমের।
গত ১১ অগাস্ট ঘোষণা করা হয় এশিয়া কাপের ১৭ জনের দল। তার আগে বেশ কিছু দিন মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একসঙ্গে অনুশীলন করেন ৩২ জনের প্রাথমিক দলে থাকা ক্রিকেটাররা। এরপর আর অনুশীলন করা হয়নি স্কোয়াডে সুযোগ না পাওয়া ক্রিকেটারদের।
তবে বিকল্প প্রস্তুত রাখার পরিকল্পনা থেকে রোববার শুরু হয়েছে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিয়ে আলাদা অনুশীলন। সেটির আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা অবশ্য এখনও দেওয়া হয়নি। তবে এশিয়া কাপের রিজার্ভ তালিকায় থাকা সাইফ, তাইজুল, তানজিম হাসান ছাড়াও মিরপুরে অনুশীলনে দেখা গেছে সৌম্য সরকার, জাকির হাসান, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, মোসাদ্দেক হোসেনদের।
বিসিবির কোচ সোহেল ইসলামের তত্ত্বাবধানে চলছে এই ক্রিকেটারদের অনুশীলন। এশিয়া কাপ খেলতে বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কায় চলে যাওয়ার পরও দেশে চলবে এই অনুশীলন পর্ব।
দ্বিতীয় দিনের অনুশীলন শেষে শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাইফ জানালেন, তাদেরকে কেন এমন অনুশীলনের মধ্যে রাখা হচ্ছে।
“আমার মনে হয়, এটা (আলাদা অনুশীলন) ব্যাকআপ পরিকল্পনা। আমরা স্ট্যান্ডবাই তালিকায় যারা আছি এবং যারা বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় আছে, তাদের জন্য এই আলাদা অনুশীলন। যেন পরবর্তীতে সুযোগ পেলে সবাই প্রস্তুত থাকে।”
মূল দলের সঙ্গে অনুশীলনের সময় প্রধান কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে কথা হয় সাইফের। এখন আলাদা অনুশীলনেও ওই একই ধরনের বার্তা দেওয়া হয়েছে তাদের।
“অনুশীলনের ইনটেনসিটিতে যেন জাতীয় দলের সঙ্গে মিল থাকে (সেই বার্তা দেওয়া আছে)…। আর যার যার যে ঘাটতি আছে, সেগুলো উন্নতি করা। আমি যে কয়েকদিন দলের সঙ্গে অনুশীলনে ছিলাম, (চান্দিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে) কথা হয়েছে, অনুশীলনের ইনটেনসিটি যেন বেশি থাকে, সেই বার্তাই ছিল।”
এশিয়া কাপের পরপর ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ড সিরিজ। এরপর প্রায় দেড় মাসের বিশ্বকাপ অভিযান৷ সব মিলিয়ে ব্যস্ত কয়েক মাস অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সামনে৷
টানা খেলার ব্যস্ততা শারীরিক ধকলের পাশাপাশি বয়ে আনতে পারে নানান চোটও৷ যা বিকল্প ক্রিকেটারদের সামনে খুলে দিতে পারে সম্ভাবনার দুয়ার৷ তবে সম্ভাব্য তেমন সুযোগের হাতছানি নিয়ে ভাবতে চান না সাইফ।
“আমাদের স্কোয়াডে ক্রিকেটাররা যারা আছে... বিশ্বকাপ খেলেছে, এরকম বড় টুর্নামেন্ট খেলেছে। সবাই অভ্যস্ত। সবাই ভালোভাবে নিজের যত্ন নিতে পারবে এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।”
গত মাসে সাইফের নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কায় ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে খেলেছে বাংলাদেশ। একই দেশে এবার মূল এশিয়া কাপ শুরুর আগে ওই টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞতা বাকিদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেছেন সাইফ হাসান, তানজিদ হাসানরা।
“আমার মনে হয়, ওখানে (শ্রীলঙ্কা) কন্ডিশন কিছুটা আমাদের দেশের মতো। শেষবার যখন খেললাম, উইকেট কিছুটা টার্নিং ছিল। সাধারণত ব্যাটিং সহায়ক থাকে। আমার মনে হয়, এমনিতে কন্ডিশন একইরকম থাকে। যদি আমরা দ্রুত মানিয়ে নিতে পারি, ভালো কিছু হবে।”
“ইমার্জিং এশিয়া কাপে যারা খেলেছে... (তানজিদ হাসান) তামিম, সাকিব (পেসার তানজিম হাসান, ব্যাকআপ অনুশীলনে), ওরাও দলে আছে। যখন আমরা একসঙ্গে অনুশীলন করেছি, অন্যদের সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে। কেমন কন্ডিশন ছিল, উইকেট কীরকম আচরণ করছিল, এসব বার্তা আদানপ্রদান হয়েছ=ছে।”