ভারতীর এই ব্যাটসম্যান নিজেই বললেন, গত তিন মাসে ব্যক্তি ও অ্যাথলেট হিসেবে আরও পরিণত হয়েছেন তিনি।
Published : 10 Apr 2024, 11:30 PM
ফেরার ম্যাচে সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ টিকতে পারেন স্রেফ ২ বল। ছক্কার চেষ্টায় টাইমিংয়ে গড়বড় করে সাজঘরে ফেরেন শূন্য হাতে। তবে, পারফরম্যান্সের চেয়েও তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ খেলায় ফেরা। ক্লান্তিকর দীর্ঘ পুনর্বাসন যেন অনেকটাই বদলে দিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিস্ফোরক ভারতীয় ব্যাটসম্যানকে, তার ভাবনার জগতকে। নিজেই বললেন, গত তিন মাসে ব্যক্তি ও অ্যাথলেট হিসেবে আরও পরিণত হয়েছেন তিনি।
স্পোর্টস হার্নিয়া, ডান হাঁটুর ব্যথা ও অ্যাঙ্কেলের চোটে গত ডিসেম্বর থেকে খেলার বাইরে ছিলেন সুরিয়াকুমার। বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে তিন মাসের পুনর্বাসন শেষে গত ৭ এপ্রিল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে আইপিএলের ম্যচ দিয়ে মাঠে ফেরেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ব্যাট হাতে সেদিন ভালো করতে পারেননি তিনি। পরে বোলিংয়ের সময় তার জায়গায় আকাশ মাধওয়ালকে ইম্প্যাক্ট সাব হিসেবে নেয় মুম্বাই।
আইপিএলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের সঙ্গে আলাপচারিতায় সুরিয়াকুমার ফিরে তাকালেন পুনর্বাসনের সেই কঠিন সময়ের দিকে।
“শেষ তিন মাস কেমন কেটেছে, বর্ণনা করা একটু কঠিন। এটা আমাকে ব্যক্তি ও অ্যাথলেট হিসেবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছে। প্রথম দুই-তিন সপ্তাহের পুনর্বাসনে একই কাজ বারবার করতে হওয়ায় একঘেয়েমিতে পেয়ে বসেছিল। চতুর্থ ও পঞ্চম সপ্তাহ থেকে আমি উপলব্ধি করি, সামনে এগিয়ে যেতে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ। আমি কীভাবে ফিরতে চাই, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গত ডিসেম্বরে অ্যাঙ্কেলে চোট পান সুরিয়াকুমার। পরে স্পোর্টস হার্নিয়াও ধরা পড়ে। সেটার জন্য জানুয়ারিতে হয় অস্ত্রোপচার। এরপর থেকে তার গত তিন মাসের বেশিরভাগ সময় কাটে বেঙ্গালুরুর এনসিএর স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে।
কঠিন নিয়মের মধ্যে চলে সুরিয়াকুমারের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। সঠিক খাবার আর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় গুরুত্ব। সেখানে এমন কিছু কাজও তিনি করেন, যা এর আগে কখনও করেননি। যেমন, বই পড়া।
“যখন আমার স্ত্রী ও এনসিএর লোকজনের সঙ্গে কথা বলতাম, তখন তারা বলত, এটা হতে হবে আমার দ্বিতীয় সংস্করণ। মাঠে যখন ফিরব, তখন আমি হব আগের চেয়ে একটু আলাদা। আমি ছোট ছোট কাজগুলো শুরু করি। যেমন, যথা সময়ে ঘুমানো, ভালো ডায়েট মেনে চলা।”
“এর আগে আমি কখনও কোনো বই পড়িনি, সেটাও শুরু করি। সকালে ঘুম থেকে উঠে পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভালো সময় কাটাই। সবকিছুর দিকে মনোযোগ দিই। নিজেকে, নিজের মতিষ্ক ও শরীরকে পুনর্বাসনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করি। এগুলো আমাকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করেছে, কারণ আমি একসঙ্গে দুই-তিনটি সমস্যায় ভুগছিলাম।”