দারুণ ফর্মের এই ধারা ধরে রাখতে চান টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভরসা হয়ে ওঠা ব্যাটসম্যান।
Published : 26 Sep 2022, 11:46 AM
টি-টোয়েন্টিতে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ দলে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম আফিফ হোসেন। ম্যাচের পর ম্যাচ দলের ব্যাটিংকে বয়ে নিয়ে চলেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ের দাবি মিটিয়ে হয়ে উঠেছেন দলের ভরসা। তাতে আত্মতৃপ্তি পেয়ে বসেনি তরুণ এই ব্যাটসম্যানকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দলের বিপর্যয়ে দারুণ এক ইনিংস খেলার পর বললেন, পরের ম্যাচ থেকে আরও বেশি রানের আশা তার।
দুবাইয়ে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ত্রাতা ছিলেন আফিফ। ১১ ওভার শেষে ৭৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় দল। সেখান থেকে আফিফ দলকে এগিয়ে নেন নুরুল হাসান সোহানকে সঙ্গে নিয়ে।
৯ ওভারে দুজনের ৮১ রানের জুটিতে বাংলাদেশ পায় মোটামুটি ভালো পুঁজি। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে আফিফ করেন ৫৫ বলে অপরাজিত ৭৭।
এই ইনিংস তার দারুণ ফর্মেরই ধারাবাহিকতা। এই বছর এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের সফলতম টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান তিনিই। ১১ ম্যাচ খেলে ৩২৩ রান করে ফেললেন ৪০.৩৭ গড় ও ১২৬.৬৬ স্ট্রাইক রেটে। দলের আর কোনো ব্যাটসম্যান করতে পারেননি ২৫০ রানের বেশি।
রান প্রচুর করলেও আফিফ বরাবরই অল্প কথার মানুষ। সামনের ম্যাচগুলোয় প্রত্যাশার প্রশ্নে তার ছোট্ট উত্তর, “আশা করি, পরের ম্যাচ থেকে আরও বেশি রান করব।”
বয়স স্রেফ ২৩ হলেও এই সংস্করণে তার অভিজ্ঞতা এখন কম নয় মোটেও। ৫০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেললেন। তার ব্যাটিংয়েও সেই অভিজ্ঞতারই প্রকাশ, চাপের মধ্যে যেভাবে ইনিংসটি গড়লেন তিনি।
ম্যাচ শেষে বললেন, একের পর এক উইকেট হারানোর পর তার চাওয়া ছিল শেষ পর্যন্ত দলকে টেনে নেওয়া।
“শুরুতে উইকেট একটু কঠিন ছিল। বল গ্রিপ করছিল। টপ অর্ডার ভালো করতে পারেনি। আমি আর সোহান ভাই যখন ব্যাট করছিলাম, উইকেট আস্তে আস্তে ভালো হচ্ছিল বলে আমরা ভালো ব্যাট করতে পেরেছি।”
“আমাদের মধ্যে কথা হচ্ছিল যে, দুজন যদি শেষ পর্যন্ত থাকতে পারি, দুজনেরই বিশ্বাস ছিল যে দলকে একটা ভালো স্কোরে নিয়ে যেতে পারব।”
এই সফরে ব্যাটিং লাইন আপে এখন লিটনের পর সবচেয়ে অভিজ্ঞ নাম আফিফই। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এখানে নেই সিপিএল খেলার কারণে, বাদ পড়েছেন মাহমুদউল্লাহ, অবসরে গেছেন মুশফিকুর রহিম। মিডল অর্ডারের মূল ভার এখন আফিফের কাঁধে। তবে সেই ভারে তিনি নুইয়ে পড়ছেন না।
“কোনো বাড়তি চাপ ছিল না। যে একাদশ খেলছে, সেটিই আমাদের সেরা একাদশ। চাপ তাই ছিল না।”
ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সোহানও ম্যাচের পর প্রশংসা করলেন আফিফের ইনিংসের।
“আফিফ সত্যিই ভালো খেলেছে। পুরো সময় স্ট্রাইক রোটেট করেছে দারুণভাবে। আমাদের জন্য এটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।”
আফিফ-সোহানের জুটির পরও ম্যাচটি জিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে বাংলাদেশকে। শেষ পর্যন্ত কোনো রকমে ধরা দিয়েছে ৭ রানের জয়। সিরিজের শেষ ম্যাচ মঙ্গলবার।