আইপিএলের ম্যাচে ‘অবস্ট্রাক্টিং দা ফিল্ড’ আউটের আবেদন তুলে নেওয়া নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের দিকে আঙুল তুললেন সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ কাইফ।
Published : 06 Apr 2024, 02:09 PM
‘অবস্ট্রাক্টিং দা ফিল্ড’ আউট নিয়ে বিতর্ক হতে পারত আইপিএলের ম্যাচে। শেষ পর্যন্ত প্যাট কামিন্স আবেদন করবেন না জানিয়ে দেওয়ায় সেই বিতর্ক হয়নি। তবে আলোচনার অবকাশ ঠিকই জন্ম দিয়েছে ঘটনাটি। সানরাইজার্স অধিনায়ক কামিন্সের দিকে যেমন দুটি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান ও ধারাভাষ্যকার মোহাম্মদ কাইফ।
হায়দরাবাদে শুক্রবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও চেন্নাই সুপার কিংসের ম্যাচের ঘটনা সেটি। চেন্নাইয়ের ব্যাটিং ইনিংসের ১৯তম ওভারে রবীন্দ্র জাদেজাকে দারুণ এক ইয়র্কার করেন ভুবনেশ্বর কুমার। সেটি কোনোরকমে ঠেকান ব্যাটসম্যান, বল যায় বোলারের দিকেই। ব্যাটসম্যান জাদেজা তখন ক্রিজের বেশ বাইরে। তা দেখে চকিতে বল ধরেই থ্রো করে দেন বোলার ভুবনেশ্বর।
জাদেজা তখন চেষ্টা করেন পড়িমড়ি করে ক্রিজে ফিরতে। স্টাম্প ঢেকে ফেলেন তিনি। বল এসে লাগে তার পিঠে।
বোলারকে তখন অবস্ট্রাক্টিংয়ের আবেদন করতে দেখা যায়নি। তিনি হাঁটা দেন বোলিং মার্কের দিকে। কিন্তু অন্য কেউ হয়তো আবেদন করে থাকতে পারেন। মাঠের দুই আম্পায়ারকে দেখা যায় একসঙ্গে হয়ে আলোচনা করতে। তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে সিদ্ধান্ত পাঠাতেও উদ্যত হন তারা। তখন সানরাইজার্স অধিনায়ক কামিন্স হাত ইশারায় জানান, তিনি আবেদন করতে চান না।
মাঠের ঘটনা ওখানেই শেষ। কিন্তু রেশ চলে আসে বাইরে। সামাজিকমাধ্যমে কামিন্সের জন্য প্রশ্ন রাখেন কাইফ।
“জাদেজার বিরুদ্ধে অবস্ট্রাক্টিং না ফিল্ড আবেদন প্রত্যাহার করা নিয়ে প্যাট কামিন্সের কাছে দুটি প্রশ্ন। ধুঁকতে থাকা জাদেজাকে ক্রিজে রাখতে ও ধোনিকে ভেতরে (ড্রেসিং রুমে) রাখতে এটা কি ট্যাকটিকাল পদক্ষেপ ছিল? এটা যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে ভিরাট কোহলি হতো, সে কি একই কাজ করত?”
ওই সময়টায় প্রত্যাশিত দ্রুততায় রান তুলতে পারছিলেন না জাদেজা। ওই ইয়র্কারে রানশূন্য থাকার পর তার রান ছিল ২০ বলে ২৫।
ইনিংসের শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে শেষ পর্যন্ত ২৩ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন জাদেজা। আগের ম্যাচে ১৬ বলে ৩৭ রান করা মাহেন্দ্র সিং ধোনি এবার শেষ ওভারে নেমে দুই বলে এক রানে অপরাজিত থাকেন।
২০ ওভারে চেন্নাই করতে পারে ১৬৬ রান। প্রয়োজনের তুলনায় যা ছিল বেশ কম। ১১ বল বাকি রেখেই ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় হায়দরাবাদ।