আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোয় ভালো করতে হলে দেশের মাঠে ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে খেলার বিকল্প দেখেন না চারিথ আসালাঙ্কা।
Published : 12 Feb 2024, 12:55 PM
প্রথম ম্যাচে দুই দল মিলিয়েই রানের বন্যা বয়ে গেছে। দ্বিতীয় ম্যাচেও আগে ব্যাট করা দল পেরিয়েছে তিনশ। শ্রীলঙ্কায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যা ছিল বিরল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে যে ধরনের উইকেটে খেলা হয়েছে, তাতে উচ্ছ্বসিত চারিথ আসালাঙ্কা। আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোয় ভালো করতে হলে দেশের মাঠে এরকম ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে খেলার বিকল্প দেখেন না এই লঙ্কান ব্যাটসম্যান।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাথুম নিসানকার রেকর্ড গড়া ডাবল সেঞ্চুরিতে ৩৮১ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। সেই রান তাড়ায় ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও আফগানরা শেষ পর্যন্ত ৩৩৯ রান তুলে ফেলে আজমাতউল্লাহ ওমারজাই ও মোহাম্মদ নাবির অসাধারণ এক জুটিতে।
দ্বিতীয় ম্যাচে রোববার দুই ওপেনারকে দ্রুত হারালেও লঙ্কানরা তোলে ৩০৮ রান। আফগানিস্তান একটা সময় পর্যন্ত সেই রান তাড়ার সম্ভাবনা জাগিয়ে রেখেছিল। ১ উইকেটে তাদের রান ছিল ১২৮। পরে নাটকীয় ধসে বড় ব্যবধানে হেরে যায় তারা।
শ্রীলঙ্কায় ৩৫৮ ওয়ানডের মধ্যে আগে স্রেফ ১০ বার পরপর দুই ম্যাচ দেখা গেছে তিনশ ছোঁয়া স্কোর। অথচ ভারতে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ১৩টি স্কোর ছিল ৩৫০ ছোঁয়া। সেই বিশ্বকাপে চরম ব্যর্থ হয়ে ১০ দলের মধ্যে নবম হয়ে দেশে ফেরে শ্রীলঙ্কা।
আসালাঙ্কা জানালেন, ব্যাটিং উইকেটে নিজেদের ঘাটতির উপলব্ধি তখন প্রবলভাবেই অনুভব করেছেন তারা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭৪ বলে ৯৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হওয়া এই ব্যাটসম্যান তুলে ধরলেন ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে খেলার গুরুত্ব কতটা।
“বিশ্বকাপ থেকে ফেরার পর প্রথম যে আলোচনা আমরা করেছিলাম, তা ছিল উইকেট নিয়ে। সাধারণ যে ধরনের উইকেটে খেলতে আমরা অভ্যস্ত, সেখানে ৩০০ রান করাই বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এই সিরিজে যে ধরনের পিচে খেলা হয়েছে, এই ধরনের পিচে নিয়মিত খেললে ওই দুর্ভাবনার জায়গাটা অনেকটাই সরে যাবে। ”
যে মাঠগুলোয় সীমিত ওভারের ম্যাচ বেশি খেলে শ্রীলঙ্কা, বেশির ভাগ সময়ই তা একটু মন্থর থাকে। এমনকি আফগানদের বিপক্ষে এই সিরিজ যে মাঠে হচ্ছে, সেই পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের উইকেট কখনও কখনও ব্যাটিং সহায়ক থাকলেও অনেক সময় আবার উল্টোও দেখা যায়।
আসালাঙ্কার মতে, এবারের সিরিজের মতো এরকম পিচে নিয়মিত খেললে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার বোলিংয়েও উন্নতি হবে অনেক।
“পিচ এই ধরনেরই হওয়া উচিত। কারণ আমরা যখন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টগুলোয় খেলতে যাই, সাধারণত এরকম উইকেটই পাই, যেখানে তিনশর বেশি রান হয়।”
“সেই দাবি মেটাতে হলে দেশের কন্ডিশনেও ওইরকম উইকেটে অনুশীলন বেশি বেশি করতে হবে আমাদের। এটা করতে পারলে আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোয় আমাদের কাজ সহজ হবে। এমনকি শুধু ব্যাটসম্যানদের জন্যই নয়, আমাদের বোলাররাও তখন এই ধরনের উইকেটে বোলিংয়ের নানা দিক সম্পর্কে জানতে ও শিখতে পারবে।”