টানা তিন হারের পরও নাফিসাকে ইমরুল বলেছিলেন, ‘ফাইনাল খেলব’

শুরুতে হ্যাটট্রিক হারের পর দলের মালিকপক্ষকে আশ্বস্ত করেছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।

বিপিএলের সবশেষ তিন আসরে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এবারও তারা উঠেছে ফাইনালে, সামনে শিরোপা জয়ের হাতছানি। অথচ শুরুটা তাদের ছিল যাচ্ছেতাই। টানা তিন ম্যাচ হেরে আসর শুরু করে দলটি। তবে তাতে বিশ্বাস হারাননি ইমরুল কায়েস। কুমিল্লার অধিনায়ক জানালেন, তখনই তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজির সত্ত্বাধিকারী নাফিসা কামালকে বলেছিলেন, এবারও ফাইনালে খেলবে দল।

শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মুখোমুখি হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

গত ৬ জানুয়ারি এবারের আসরের উদ্বোধনী দিনে রংপুর রাইডার্সের কাছে প্রথম ম্যাচ হেরে যাত্রা শুরু করে কুমিল্লা। পরের দুই ম্যাচে সিলেট ও ফরচুন বরিশালের বিপক্ষেও জয় পায়নি তারা। পরে নানা পথ পেরিয়ে কুমিল্লার পাশাপাশি এই তিনটি দলই পায় শেষ চারের টিকিট। তবে তাদের পেছনে ফেলে সবার আগে ফাইনাল নিশ্চিত করে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা।

শুরুতে ওই তিন ম্যাচ হারের পর এখন পর্যন্ত অজেয় ইমরুলের দল। লিগ পর্বে টানা ৯ ম্যাচ জেতার পর প্রথম কোয়ালিফায়ারে সিলেটকে হারিয়ে ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করে কুমিল্লা। টানা ১০ ম্যাচ জিতে বিপিএলে গড়ে নতুন ইতিহাস।

শেষের লড়াইয়ের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ইমরুল ফিরে গেলেন শুরুতে। এই ধরনের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে অনেক সময়ই টানা ম্যাচ হারতে থাকলে মালিকপক্ষ অনেকটা অস্থির হয়ে ওঠে। নাফিসা কামালও শঙ্কিত হয়েছিলেন। তখন তাকে আশ্বস্ত করেছিলেন ইমরুল।

“কুমিল্লা তো প্রতিবারই শুরুর ম্যাচ হারে। গতবার শুধু ব্যতিক্রম হয়েছে। এছাড়া ইতিহাস খুঁজলে দেখা যাবে, কুমিল্লা প্রতিবারই প্রথম ম্যাচ হারে। নাফিসা আপু একটু আবেগপ্রবণ মানুষ। (হারলে) উনি মন খারাপ করেন।” 

“(হারের পর) আমরা নাফিসা আপুকে বলেছি যে, ‘মাত্র খেলা শুরু হয়েছে। ভয় পাওয়া বা ঘাবড়ানোর কিছু নেই। অনেক খেলা বাকি আছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অনেক নাটকীয়তা হয়। এটা নিয়ে টেনশনের কিছু নেই। দেখবেন আমরা দিন শেষে ফাইনালই খেলব।’ তো আল্লাহ্‌ পাকের রহমতে আমরা আবার ফাইনালে এসেছি।”

এবারের আগে তিনবার ফাইনাল খেলে কখনোই হারেনি কুমিল্লা। তাদের তিন শিরোপার দুটি এসেছে ইমরুলের নেতৃত্বেই।